রংপুরে ঈদ মার্কেটে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) ছিল পবিত্র রমজান মাসের ১৩ তারিখ। ঈদুল ফিতরের প্রায় ১৬ দিন বাঁকী থাকলেও রংপুরের মার্কেট গুলোতে জমে ওঠেনি ঈদের কেনাকাটা। ঈদ মার্কেটে কাঙ্খিত ক্রেতার দেখা না পেয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতি বছর এ সময়ে জমে ওঠে ঈদের কেনাকাটা। ব্যবসায়ীরা এ সময় ব্যস্ত সময় পার করে থাকেন। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন মনে হচ্ছে। বিশেষ করে বেসরকারি চাকরিজীবীরা এবার বেতন-বোনাসের হিসাব কষে ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করায় এখনো জমে ওঠেনি মার্কেটে বেচা বিক্রি। মাসের শুরুতে যে বেতনের টাকা তারা পেয়েছেন, তা দিয়ে বাসা ভাড়া ও রোজার বাজার করেছেন।
এখন ঈদের কেনাকাটার জন্য বোনাসের অপেক্ষা করছেন। মার্কেটে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে চাকরিজীবীদের এমন পরিস্থিতি জানা গেছে। ব্যবসায়ীরাও অনেক ক্রেতার কাছ থেকে এরকমই জানতে পেরেছেন। আর ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করছেন কখন বোনাস হাতে পেয়ে মার্কেটে আসবেন ক্রেতারা।
রংপুরের সুপার মার্কেট ও জাহাজ কোম্পানী শপিং কমপ্লেক্সে কেনাকাটা করতে এসেছেন গৃহবধূ আফরিন। তার সঙ্গে চার বছরের মেয়ে তুলি। ঈদের কেনাকাটা কেমন হয়েছে, শেষ নাকি শুরু এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শুধু মেয়ের জন্য একটা ড্রেস সেট ক্রয় করেছেন তিনি। তুলির বাবা একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বোনাস হাতে পাবেন হয়তো রবি-সোমবার, তারপর নিজেদের জন্য কেনাকাটা করবেন।
আরও পড়ুনকাপড়র ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন মুন্না বলেন, সবাই বলছে বোনাস পেলে কিনবে। কাস্টমার এসে দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। বলছেন বোনাস পাওয়ার পর কেনাকাটা করবেন। কয়েকজন চাকরিজীবী জানান, মার্চের প্রথম সপ্তাহে তারা ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পেয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া পরিশোধ করেছেন। পাশাপাশি রোজার বাজারসহ মাসের খরচ করেছেন।
সব মিলিয়ে তাদের হাতে এখন ঈদ মার্কেট করার মত টাকা নেই। ১৫ রমজান বা তারও পরে ঈদের বোনাস তারা পেয়ে থাকেন। সেই হিসেবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে তারা বোনাসের টাকা হাতে পেতে পারেন। পরে পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা করবেন।
মন্তব্য করুন