গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কথিত জিনের বাদশার সদস্যদের মারপিটে যুবক আহত

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কথিত জিনের বাদশার সদস্যদের প্রতারণার অর্থ এনে না দেয়ায় মারপিটে আপিল মিয়া নামের এক যুবককে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার বিকেলে তালুক রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের তালুক রহিমাপুর গ্রামের আহত আপিলের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম থানায় ৫জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গোবিন্দগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, তালুক রহিমাপুর চরপাড়া গ্রামের এমদাদুল হকের পুত্র মো: মামুন মিয়া (২৮) ও মাহমুদুল হাসান (২৫), মৃত সেকেন্দার আলীর পুত্র ভিক্ষু মিয়া (৩০), মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র মশিরুল ইসলাম (৩২) এবং ফুল মিয়ার পুত্র রানু মিয়া (৩৫) সকলের প্রতারকচক্র জিনের বাদশার সদস্য।
নানা প্রলোভনে সরলমনা বিভিন্ন মানুষকে ধনসম্পদ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়াই এদের কাজ। সম্প্রতি প্রলোভনের মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার ঢাকা থেকে আনার জন্য একই গ্রামের সরফরাজ আলীর পুত্র আপিল মিয়াকে ২০ হাজার টাকার দেয়ার লোভ দেখিয়ে ঢাকায় পাঠায়।
আরও পড়ুনআপিল মিয়া ঢাকায় গিয়ে তার মনে হয় প্রতারণার এই অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আসা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনি কাজ। হয়তো নিজেও ধরা পড়ে প্রাণ হারাতে পারে। তাই বিবেকের দংশনে টাকা না নিয়ে চলে আসে। বাড়ি ফিরে বিষয়টি তাদেরকে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সাথে আসামিরা ধারণা করে যে আপিল মিয়া প্রতারণার অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে এসে আত্মসাত করেছে। তারা এই অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরৎ দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এরই সূত্র ধরে ১৭ মার্চ বিকেলে আপিলকে তার বাড়ি থেকে ডেকে এনে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে তালুক রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে ফেলে রাখে।
পরে খবর পেয়ে আপিল মিয়ার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। কিন্তু সেখান থেকেও ওই জিনের বাদশার সদস্যরা তাকে অপহরণের চেষ্টা করলে চিকিৎসক ও স্থানীয়দের প্রতিরোধে তা ব্যর্থ হয়। আপিলের স্ত্রী জানান, অপহরণে ব্যর্থ হয়ে এখন আমাকে তারা নানা ধরণের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, বাইরে আছি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন