ভিডিও শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

রোদ এবং গরম বাধ সাধতে পারেনি ঈদ আনন্দে

বগুড়ার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ছোটদের সাথে মাতে বড়রাও

বগুড়ার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ছোটদের সাথে মাতে বড়রাও। ছবি : দৈনিক করতোয়া

স্টাফ রিপোর্টার : ঈদ মানে অফুরন্ত আনন্দ। তাই গরম এবং তাপদাহ উপেক্ষা করেও বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে মেতে উঠেছিল প্রতিটি মানুষ। এই উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ঈদের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত বগুড়া শহর  ও আশেপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছোট-বড়দের কোলাহলে মুখরিত হয়ে থাকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত। যার যার মত করে সারাদিন আনন্দ বিনোদনের জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, বন্ধু-বান্ধবীর সাথে ঘুরে বেরিয়েছেন, খেয়েছেন, সেলফি তুলে আনন্দের মুহুর্তগুলো ধরে রেখেছেন।

চৈত্র মাসের বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায় রোজাদার মানুষ খুব কষ্ট করে রোজা রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন এই দাবদাহে বের হতে পারবেন না। আনন্দ করতে পারবেন না। কিন্তু  গরম এবং তাপদাহ মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে পারেনি। মানুষ নতুন পোশাক পড়ে ঈদ আনন্দে মেতে ওঠে। আনন্দের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে দলবেধে আবার অনেকে প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে সময় কাটিয়েছেন।

ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি, কুশলবিনিময় শেষেই অনেকে বের হয়ে পরেন। বগুড়ার ওয়ান্ডার ল্যান্ড, পৌর পার্ক, মমইন ইকোপার্ক, মহাস্থান যাদু ঘর, বেহুলার বাসরঘর, সারিয়াকান্দির প্রেম যমুনার ঘাট, ধুনট গ্রোয়েন বাঁধ এলাকাসহ ছোটবড় প্রতিটি  বিনোদন কেন্দ্রে দুপুরের পর থেকেই জমজমাট হয়ে ওঠে। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত মানুষের পদচারনায়, আনন্দ উল্লাসে মুখরিত হয়ে ওঠে। এবার ব্লগার ও ইউটিউববারদের  বদৌলতে  নতুন এক বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

বগুড়ার শেরপুর জোরগাছা ব্রিজের নিচে বাঙালি নদীর পানি শুকিয়ে শ্রোত বয়ে যাচ্ছে। আর তাতে ড্রোন দিয়ে  ছবি তুলে বগুড়ার জাফলং লিখে ছেড়ে  দেয়ার পর  সেখানে মানুষ হুমরি খেয়ে পড়েছেন। যদিও যারা অতি উৎসাহী হয়ে সেখানে গেছেন তারা অন্যদের নিরুৎসাহিত করছেন।

এদিকে মহাস্থান জাহাজঘাট এলাকায় বন্ধুরা এসেছেন একসাথে। একে অপরের হাত ধরে ছবি তুলছেন। কখনও শুয়ে থেকে, কখনও বসে । বন্ধুদের মধ্যে  আশা. শাম্মি, সুরভী, মিনহাজ, সালাম জানান সবার বগুড়া বাড়ি শহরে।  বিকেল পর্যন্ত এখানে থাকবেন। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। এরপর কে কোথায় চলে যাবেন তার ঠিক নেই । কাজেই সময় গুলোকে বেধে রাখছি মোবাইলে।

আরও পড়ুন

সবচেয়ে বেশি ভিড় মমইন এ। এখানকার ওয়াটার পার্কে পরিবারের লোকজন, শিশুরা, তরুনরা সাতার কাটছে, গাইছে, গানের ও ঢেউয়ের তালে নাচছে। খুব ভাল সময় কেটেছে সবার। পানি দেখলে ভয় পায়  সাত বছরের আহনাফ। তাই তার বাবা, মা  ও মামা খালা মিলে পানিতে নেমেছেন ছেলের ভয় কাটানোর জন্য।

ঢাকায় থেকে সব বোনেরা তাদের ছেলে-মেয়ে নিয়ে বগুড়ায় ঈদ করতে এসেছেন। সরকারি চাকরিজীবী  জেবুননাহার। বললেন, ঢাকায় থাকতে থাকতে হাপিয়ে ওঠেছে নবাই। তাই এবার বগুড়ায় এসেছি ঈদ করার জন্য। একটু খোলামেলা জায়গাতে বেড়ানোর জন্য প্রেম যমুনার ঘাটে গিয়েছিলেন ঈদের দিন দুপুরের পর। সবাইকে নিয়ে নৌকা  ভ্রমণ করেছেন। এখানে এসে খোলামেলা আবহাওয়ায় ভাল লাগছে। তবে রোদের তীব্রতা একটু কম হলে এবং এখানে বসার ব্যবস্থা থাকলে ভাল হতো।

ব্যস্ত এই নগরে  যে কোন উৎসব আমেজ ছাড়া বেড়ানোর জন্য সময় বের করা যায়না। আর তাই ঈদের আগের দিন থেকেই শহরের এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলো মানুষের পদচারনায় ভরে ওঠে। বিনোদন কেন্দ্র ছাড়াও শহরের সাতমাথায়  শিশুরা ঘোড়ার গাড়িতে করে বেড়িয়েছে। কিনেছে ঈদ ঊপলক্ষে বসা দোকান থেকে পছন্দের সব সামগ্রী। বেড়ানো, খাওয়া এবং কেনাকাটা  ঈদ আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সব বয়সিদের।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নওগাঁর বদলগাছীতে সিএনজি-ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

সালমা আত্মপ্রত্যয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

প্রবীণ দলীয় কর্মী ‘তাহের ঠাকুর’-এর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

দরিদ্রতা জয় করে স্বাবলম্বী গোবিন্দগঞ্জের মমতাজ 

টিনের চালার ছোট্ট মুদির দোকানই সত্তোরর্ধ্ব ফাতেমার বেঁচে থাকার অবলম্বন

আপনারা বেশি বেশি দেশি ফল খাবেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা | Fruit Fair in Bangladesh | Daily Karatoa