চীনের গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

চীনের গণমাধ্যম সিজিটিএন-কে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) চার মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারটি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হয়।
দেশটির গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে চীনের সাথে থাকা সম্পর্কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। আহ্বান জানান, বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ এবং শিল্প কারখানা স্থানান্তর করার। তিনি বলেন, এতে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের ভূমি পরিবেষ্টিত দেশ উপকৃত হবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে আছে বাংলাদেশ। দেশকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যুব সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশকে রূপান্তরে সহায়তা করতে পারে চীন। বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীই ২৭ বছরের মধ্যে। সুতরাং তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি হতে পারে।
এসময় বাংলাদেশ ও চীনের পারস্পরিক সম্পর্কে অর্জিত সাফল্যের প্রশংসাও করেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাফল্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। চীন তার জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের রূপান্তরে সহযোগিতা করে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এজন্য অবশ্য সংস্কৃতি ও ভাষাচর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. ইউনূস। বাংলাদেশে চাইনিজ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র স্থাপনেও চীনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, যখন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি জানতে পারবে তখন তারা আরও গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে।
আরও পড়ুনসাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও কথা বলেন ড. ইউনূস। চাইনিজ হাসপাতালগুলোর প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চীনের স্বাস্থ্যসেবা পেতে চায়। এটা হলে তারা অনেক খুশি হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্যখাতে চাইনিজ টেকনোলজি থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু পাওয়ার আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, শান্তিই একমাত্র সমাধান, যুদ্ধ কোন সমাধান নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধের কোন প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ চীনের হাইনান দ্বীপ প্রদেশে অনুষ্ঠিত বোআও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি বেইজিং সফর করেন। যা প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
মন্তব্য করুন