ভিডিও বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫

বগুড়ার নন্দীগ্রামের ঝাঁজালো সরিষার কাসুন্দি যাচ্ছে ঢাকায়

বগুড়ার নন্দীগ্রামের ঝাঁজালো সরিষার কাসুন্দি যাচ্ছে ঢাকায়। ছবি : দৈনিক করতোয়া

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : কাসুন্দি তৈরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনেছেন নন্দীগ্রামের নারীরা। স্বল্প বিনিয়োগে অনেকে ব্যবসায়ী বনে গেছেন, দরিদ্র পরিবারের ভাগ্য পাল্টেছে। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটধুমা হিন্দুপাড়ায় তৈরি করা ঝাঁজাল সরিষার কাসুন্দি (কাসন) জেলার গন্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে ঢাকায়। গ্রামীণ হাট-বাজারেও চাহিদা বেড়েছে।

কাসুন্দির মহল্লা হিসেবে পরিচিত হাটধুমা এলাকার ২০ পরিবারের নারীরা সংসারের কাজের পাশাপাশি গড়েছেন ক্ষুদ্র কর্মসংস্থান। বাড়িতে তৈরা করা সামগ্রী পরিবারের পুরুষরা বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার হাট-বাজারে ও গ্রামে গিয়ে ফেরি করে বিক্রি করেন।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বাইরে চুলার ওপর কড়াই এবং পাতিল বসিয়ে পানি গরম করা হচ্ছে। গৃহিনীরা শুকনো সরিষা এবং শুকনো হলুদ গোটা ঢেঁকিতে গুঁড়া করছিলেন। কেউ কেউ পাতিলে গরম পানি ঢেলে সরিষা এবং হলুদ গুঁড়া মিশ্রণ করেছিলেন। এরপর পাতিলের মুখ পাতলা কাপড় দিয়ে বেঁধে রোদে রাখেন।

হাটধুমা হিন্দুপাড়ার কাঞ্চনী বালা ও সোহাগী বালা জানান, পাতিলের মুখ বেঁধে তিন-চার দিন রেখে প্রতিদিন রোদে রাখেন। বোতলজাত করার আগে আলাদাভাবে পানি গরম করে পাতিলে নেওয়া হয়। পানি ঠান্ডা হলে পাতিলের জমানো সরিষা-হলুদের সাথে মিশ্রণ করে। শেষে গুঁড়া মরিচ, লবণ, জিরা, ধনিয়াসহ বিভিন্ন উপকরণ মিশ্রণে প্রস্তুত হয় পণ্য। পরিষ্কার বোতলে তুলে বাজারজাত করা হয় হাটধুমার ঝাঁজাল সরিষার কাসুন্দি। এই পণ্য টক-মিষ্টি ফলের স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন

তারা আরও জানান, উন্নতমানের কাসুন্দির ক্ষেত্রে পৃথক পানি মিশ্রণ থাকে না। পানির পরিবর্তে সরিষার তেল দিতে হয়। এব কেজি সরিষা থেকে ঘণ কাসুন্দি আড়াই কেজি থেকে তিন কেজি হয়। পাতলা করলে হবে চার কেজি। বাজারে কাসুন্দি নরমাল ৬০ টাকা কেজি এবং উন্নয়ত মানের কাসুন্দি বিক্রি হয় ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। কাসুন্দি বিক্রির টাকায় সংসার ও সন্তানদের লেখাপড়ার খরচের পরও আয় থাকে। ক্ষুদ্র কর্মসংস্থান গড়ে তুলে দরিদ্র পরিবারগুলোর ভাগ্য পাল্টেছে।

স্থানীয়রা জানান, এখানকার কাসুন্দির চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। বিভিন্ন কোম্পানির লোকজন এসে অর্ডার দিয়ে তৈরি করে নেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা সরাসরি হাটধুমা হিন্দুপাড়া এসে কাসুন্দি নিয়ে যান। দাম ভালো পেয়ে এই পণ্য তৈরিতে বাড়ছে আগ্রহ। বছরের বৈশাখ মাস থেকে তিন মাস কাসুন্দির চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় পুলিশের উপর হামলা, এটিএসআই ও কনস্টেবল আহত

বগুড়ার গাবতলীর রামেশ্বরপুরে নিম্নমানের সামগ্রী গিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ফেনসিডিলসহ দুই ভাই গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চুরি যাওয়া শাড়িসহ গ্রেফতার ৪

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের হত্যা মামলার আসামি সুনামগঞ্জে গ্রেফতার

সাবেক এমপি মোরশেদ আলম গ্রেফতার