ভিডিও বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

 সমন্বয়ক পরিচয়ে পদত্যাগপত্রে জোরপূর্বক কর্মকর্তার সই

 সমন্বয়ক পরিচয়ে পদত্যাগপত্রে জোরপূর্বক কর্মকর্তার সই

নিউজ ডেস্ক:  সমন্বয়ক পরিচয়ে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বোর্ড সভাপতি আব্দুর রহিমের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 


মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের ভেতর লাঞ্ছিত করা হয়।

তবে ওই ব্যক্তি (আব্দুর রহিম) আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ায় তাকে পদ থেকে সরে যেতে বলায় স্বেচ্ছায় তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সুমন আহমেদ।

কুষ্টিয়ার বৈষম্যবিরোধী নেতারা বলছেন, সুমনকে আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ফলে তার দায়ভার সংগঠন বহন করবে না।

এদিকে পুরো ঘটনা সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের সামনে ঘটলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। 

জানা গেছে, ২০২০ সালে কুষ্টিয়া পল্লী বিদুৎ সমিতির ৫ নম্বর এলাকা পরিচালক নির্বাচিত হন আব্দুর রহিম। তিনি সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও সচিব পদেও দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের ১ মার্চ আব্দুর রহিম সমিতির বোর্ড সভাপতির পদে শপথ গ্রহণ করেন। ২০২৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই সমন্বয়ক নামধারী কিছু লোকজন জোরপূর্বক তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। 

আরও পড়ুন

ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম বলেন, “মঙ্গলবার কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বোর্ড সভা ছিল। আমি সেখানে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে সুমন নামে এক যুবক দলবলসহ এসে আমাকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন। কারণ জানতে চাইলে আমাকে লাঞ্ছিত করেন। এরপর জোরপূর্বক জেনারেল ম্যানেজারের কক্ষের ভেতরেই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে তারাই জমা দেয়। কী লিখেছে, কী করেছে; আমি কিছুই দেখিনি।”

এই ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর উপায় নেই বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে আব্দুর রহিম বলেন, “বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা কোনো ঝামেলায় যেতে দিতে চাননি। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এর বিচার আল্লাহর হাতেই ছেড়ে দিলাম।”
আব্দুর রহিমের সই করা পদত্যাগপত্রে বলা আছে, “বর্তমানে আমি বোর্ডের সভাপতি পদে আছি। আমার বিশেষ প্রয়োজনে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।” 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন এলাকা পরিচালক বলেন, “এটা একটা অরাজনৈতিক পদ। কারো রাজনৈতিক পদ পদবি থাকলে, তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারেন না। তারপরও একটি পক্ষ তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। আবার তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) বরাবর। এটাও অবৈধ প্রক্রিয়া। জিএম মাধ্যম হতে পারেন। কিন্তু পদত্যাগপত্রের আবেদন হবে চেয়ারম্যান বরাবর।”
সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া যুবক সুমন আহমেদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন, “আব্দুর রহিম আওয়ামী লীগের দোসর। এই শহরে ফ্যাসিবাদের কোনো দোসরকে পুর্নবাসন করতে দেওয়া হবে না। আমরা তাকে জোর করিনি। তাকে সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে চলে যেতে বলেছিলাম। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।” 

এই বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সুমন জেলা কমিটির সদস্য ছিল। তার বিতর্কিত কার্যক্রমের জন্য তাকে আগেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সে আমাদের কেউ না। তার ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার সংগঠন বহন করবে না।”

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী ইসমাত কামাল বলেন, “আব্দুর রহিম নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। জোর করে স্বাক্ষর করে নেওয়ার কোনো অভিযোগ পাইনি।”

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আশুলিয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

পাবনায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ভারতের হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য নিহত

পটুয়াখালীতে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে আটক ২

সীমান্ত জেলাগুলোতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার