ভিডিও রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

বগুড়ায় শিশু ছালমা হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় শিশু ছালমা হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

কোর্ট রিপোর্টার : সানজিদা আক্তার ছালমা নামের সাড়ে চার বছরের শিশুকে হত্যাসহ লাশ গুমের মামলার রায়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাসিমপুর চালুঞ্জা (চন্দ্রপুকুর) গ্রামের রমজান আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ও আব্দুর রহমানের ছেলে হাবিল খাঁ রকিকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৩০ দিনের সশ্রম কারাদন্ডদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও লাশ গুমের দায়ে ওই দুই আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই মামলার অপর আসামি একই গ্রামের মৃত জামাল খাঁর ছেলে আসামি মজিবর রহমানকে লাশ গুমের দায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

জরিমানার অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহত সালমার বাবা এজাহারকারীকে প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার অপর দুই আসামি আব্দুর রশিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাসের আদেশ দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গবার বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত নং-৩ এর বিচারক মো. লুৎফর রহমান শিশির এই রায় দেন।

উল্লেখ্য, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাসিমপুর চালুঞ্জা (চন্দ্রপুকুর) গ্রামের শামীম শেখ ধলুর সাড়ে চার বছরের মেয়ে সানজিদা আক্তার ছালমা খেলাধুলা করার জন্য ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে বাড়ির বাইরে যায়। যোহরের নামাজের পর সে বাড়িতে ফিরে না আসলে তার বাবাসহ বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় ছালমাকে খোঁজাখোঁজি করেন।

আরও পড়ুন

পরের দিন ৮ নভেম্বর ছালমা নিখোঁজ হওয়ায় এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরপর গ্রামের লোকজনের বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ওই দিন রাত ৯টার দিকে শামীম শেখ ধুলুর ভাই আব্দুস ছাত্তারের বাড়ির দক্ষিণ পাশে শিম গাছের মাচার নিচে শিশু ছালমার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। ছালমার লাশের গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া যায়।

এব্যাপারে নিহত শিশু ছালমার বাবা শামীম শেখ ধলু বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিদেরকে গ্রেফতার করে। মামলাটি তদন্ত শেষে শিবগঞ্জ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ওই আসামিদেরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি এড. এফ ই এম আসাদুতজ্জামান মাখন, তাকে সহযোগিতা করেন এড. আতাউর রহমান খান মুক্তা এবং আসামি পক্ষে এড. শামছুর রহমান ও এড. লাল মিয়া।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে : প্রেস সচিব

সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০

দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৮ জন দগ্ধ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ

বগুড়ার আদমদীঘিতে এতিমদের সম্পত্তি ও বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ