পাবনার সাঁথিয়ায় বাঙ্গি চাষে সাফল্য দেখছেন কৃষকরা

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি : প্রায় সাড়ে তিন মাস নিবিড় পরিচর্যার পর মাঠে মাঠে এখন চলছে বাঙ্গি ফল তোলার উৎসব। চাষিদের চোখমুখে এখন হাসির ঝিলিক। চৈত্রের বাহারী মৌসুমী ফল বাঙ্গির সমারোহ এখন দিগন্ত জুড়ে। এই ফল চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
প্রতি বিঘা জমি থেকে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ করছেন কৃষকরা। তিন ধরনের বাঙ্গি উঠে বাজারে চিনা, বেলে ও এটেল বাঙ্গি। বাঙ্গির প্রকার ভেদে দামেও রয়েছে ভিন্নতা। বাঙ্গি চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জীব কুমার গোস্বামী।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর ব্যাপকভাবে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। এবারে সাঁথিয়ায় ৪২ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি ফল চাষ হয়েছে। তারমধ্য সবচেয়ে বেশি (২৫ হোক্টর জমিতে) বাঙ্গির চাষ হয় সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া শামুকজানি গ্রামে। তুলনামূলক কম খরচে সাথী ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ জনপ্রিয় ও লাভজনক।
স্থানীয়রা জানান, বাজারে মৌসুমের শুরুতে বিশেষ করে রমজান মাসে দাম ভালো পেলেও তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে সে দাম দ্রুত হ্র্রাস পেতে শুরু করে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় আকারের বাঙ্গির দাম ৯০-১১০ টাকা, মাঝারির দাম ৬০-৮০ টাকা এবং ছোটটির দাম ৫০-৫৫ টাকা। এছাড়াও ছোট বাঙ্গি প্রকার ভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
কৃষক নজরুল ইসলাম ১০ বিঘা জমিতে বাঙ্গি ফল চাষ করেছেন। তিনি প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেন প্রায় ১ মাস। তিনি আরোও ১ মাস বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। ফলন ও সাইজ অনুযায়ী দাম পাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
আরও পড়ুনতারা বলছেন, পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় দূরে গিয়ে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অনেক ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় বাজারে মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো পেলেও তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে সে দাম দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে।
সিরাজগঞ্জের বাঙ্গি ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, প্রতিদিন ভোরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের শামুকজানি বাজার থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৫৯ হাজার টাকার বাঙ্গি কিনে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে ভালোই লাভ হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী জানান, এবার সাঁথিয়ায় সবচেয়ে বেশি ৪২ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি ফল চাষ হয়েছে। এখানে তিন ধরনের বাঙ্গি পাওয়া যায় এটেল, চিনা, বেলে। পিয়াজের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে বিনা খরচে বাঙ্গি চাষ করে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করবে কৃষকরা।
মন্তব্য করুন