নওগাঁর আত্রাইয়ে সোানালী ধান উঠানে ঘরে তোলার পালা কৃষানিদের

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে বোরো ধানের চাল তৈরির জন্য ধান সিদ্ধ শুকানোতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক কৃষানি। গ্রামে গ্রামে এখন চলছে ধান সিদ্ধ শুকানোর মহোৎসব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক পরিবারের নারী পুরুষ ধান সিদ্ধ শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, মনিয়ারী, বিশা ও পাঁচুপুর ইউনিয়নের কৃষকদের বোরো ধান কাটা মাড়াই শেষ পর্যায় পৌঁছে গেছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদরে জমিতে উৎপাদিত ধানের ভাত খেয়ে অভ্যস্ত। তাই যুগ যুগ ধরে ধান কাটা মাড়াইয়ের পর ধান সিদ্ধ শুকানো এ অঞ্চলের কৃষকদের রেওয়াজ। ঘরে ভাতের চাল মওজুদ থাকলে সারা বছর কৃষকের আর দুশ্চিন্তা নেই।
এমন ধারণাই পোষণ করেন এলাকার কৃষকরা। তাই প্রতি বছর ধান কাটা মাড়াইয়ের সাথে সাথে ধান সিদ্ধ শুকানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। গতকাল এলাকার সরেজমিন ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে এলাকার প্রায় কৃষকের খোলানে খোলানে চলছে ধান সিদ্ধ শুকানোর ধুম।
নারী পুরুষ এক যোগে ধান সিদ্ধ শুকানোর কাজ করছেন। কেউ কড়াইয়ে ধান ঢালছেন, কেউ জাল দিচ্ছেন আবার কেউ খোলানে বিছিয়ে দেয়া ধানে বার বার পা দিচ্ছেন। এ ব্যবস্থার মাঝেও তাদের মাঝে বিরাজ করছে এক উৎফুল্লাতা।
আরও পড়ুনউপজেলার বহলা গ্রামের আব্দুর রউফ, মজিবর রহমান, ইয়াকুব আলী বলেন, ধান বিক্রি করে চাল কিনে ভাত খাওয়াকে আমরা অভিশাপ মনে করি। ঘরের চালের ভাতের মজাই আলাদা। ধান সিদ্ধ শুকানো ও ভাঙিয়ে চাল তৈরি করতে যদিও যথেষ্ট পরিশ্রম হয়। তারপরও সারা বছরের ভাতের চাল ঘরে তুলতে পারলে ওই পরিশ্রম আর মনে হয় না।
এবারে আল্লাহ আামদেরকে যে অনুকূূল আবহাওয়া দিয়েছেন এটাকে কাজে লাগাতে আমরা নারী পুরুষ সেই কাক ডাকা ভোরে উঠেই ধান সিদ্ধ করার কাজ শুরু করি। রৌদ্রের তাপ কিছুটা বাড়লেই সেই ধান শুকানোর জন্য নেড়ে দেয়া হয়। ধান শুকানোর পর এখন চাল তৈরির জন্য রাইস মিলে যেতে হয় না। বাড়ি বাড়ি এসে ভ্রাম্যমাণ চালকল চাল তৈরি করে দেয়। এতে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।
মন্তব্য করুন