ভিডিও বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পেতে জামায়াতের আপিলের রায় ১ জুন

নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পেতে জামায়াতের আপিলের রায় ১ জুন, ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক ফেরতের আবেদনের বিষয়ে দায়ের করা আপিলের রায় আগামী ১ জুন ধার্য করেছে আপিল বিভাগ। আজ বুধবার (১৪ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

এদিন জামায়াতের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয় যাতে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বরাদ্দ দেয় নির্বাচন কমিশন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। ইসি’র পক্ষে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আইনজীবী হাজির না থাকায় আপিল মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপর আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য রিস্টোর করেছেন, অর্থাৎ পুনরুজ্জীবন করেছেন। ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও শিশির মনির। এরপর ৩ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আরজি জানান।

আরও পড়ুন

এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়। ২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডলার রেট বাজারভিত্তিক করার ঘোষণা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ঝিনাইদহে লাটার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু  

নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশা চালক জামান হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

১ দফা দাবি নিয়ে নাসিং শিক্ষার্থীদের পাঁচ ঘন্টা ধরে শাহবাগ ব্লকেড | Nursing | Daily Karatoa

বাপিডিপ্রকৌস নির্বাচন সভাপতি রায়হান মিয়া, সাধারন সম্পাদক আনিস নির্বাচিত

রাজশাহীর ফরিদপুরে ইসমাইল হত্যা মামলার আসামি রাজশাহীতে গ্রেফতার