ভিডিও বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি

পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি

তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ২৬.৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া ডলারের হিসাবে পোশাক রপ্তানিতে তৃতীয় হলেও প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। চীনের এ হার ৪ শতাংশ।

ভিয়েত নামের ১৪ শতাংশের কাছাকাছি। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি বেড়েছে ১১ শতাংশের মতো। অর্থাৎ সারা বিশ্ব থেকে যে হারে আমদানি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ থেকে বেড়েছে তার দ্বিগুনেরও বেশি। গত বছরের একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যেখানে ১ হাজার ৭৫৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, সেখানে চলতি বছরের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৩ মিলিয়ন ডলারে।

একই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিও বেড়েছে ১০.৯৫ শতাংশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অসি অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানির এই পরিসংখ্যান মার্চ পর্যন্ত। এপ্রিলের শুরুতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের ওপর ২রা এপ্রিল ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৫৭ দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। ৯ এপ্রিল তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

যদিও সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক থাকলেও চীনা পণ্যে মার্কিন শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশ। কেবল আমেরিকা নয়, ইউরোপের বাজারে দেশের পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৫২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে ১৯৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলারে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন

যা ২০২৪ সালের একই সময় ছিল ১২৯ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। এর ফলে বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। আশার কথা, গত বছরের তুলনায় এ বছর জানুয়ারিতে সামগ্রিকভাবেই ইউরোপের বাজারে পোশাক আমদানি বেড়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাজারে জানুয়ারি মাসে পোশাক আমদানি হয়েছে ৮৫৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের। যা গত বছরের একই সময় ছিল ৬৮৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ। ২৭ দেশের জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার। মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে এই বাজার থেকে।

তথ্য মতে, বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। চীনের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪.১৮ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৩.৯৬ শতাংশ. ইন্দোনেশিয়ার বেড়েছে ২০ শতাংশ, ভারতের ২৪ শতাংশ, মেক্সিকোর ২ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ১৪.৬৯ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৭.৪৯ শতাংশ ও কোরিয়ার ২.১৭ শতাংশ। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুধু হন্ডুরাসের পোশাক রপ্তানি ১০-১১ শতাংশ কমেছে। এই তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। দেশটি ৩ হাজার ৮৭৫ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীন ৩ হাজার ৫৯৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। রপ্তানিকারকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির কারণে রপ্তানির এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক গত এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে।

দ৩৭ শতাংশ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রয়েছে। ৯০ দিন পর কি হবে তা বলা যাচ্ছে না। শঙ্কার বিষয়গুলো আমলে নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতি বজায় রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক- এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রংপুরের বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরীর অব্যাহত ভাঙনে ‘জলুবরের’ অস্তিত্ব হুমকির মুখে

নীলফামারীতে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে যুবকের ১৩ বছর কারাদন্ড

রংপুরে স্বর্ণের দোকানে চুরি

বগুড়ায় ৪ আগস্টের ঘটনায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের ৫ নেতাকর্মী রিমান্ডে

জনবল সংকটে রংপুর বিভাগের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল

বগুড়ায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া কর্মসূচিতে হামলা