ভিডিও শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সেমিনারে রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক

“দক্ষিণ কোরিয়ার অগ্রগতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন। বাংলাদেশেও সেই সম্ভাবনা রয়েছে। এই দেশের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী। আমি বিশ্বাস করি, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়লে দুই দেশই উপকৃত হবে।” বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক আজ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত “কোরিয়াজ কারেন্ট সিচুয়েশন ইনক্লুডিং ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনশিপ উইথ বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমনিারে এই মন্তব্য করেছেন। 
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটেরিয়ামে আজ বেলা ১০টায় অনুষ্ঠিত বিশেষ এই সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব হাফিজুর রহমান খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান, নির্বাহী পরিচালক মো. শামীম আহসান পারভেজ,  ক্যারিয়ার ও রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. এএইচএম রহমতউল্লাহ ইমন, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডলসহ বিভিন্ন স্কুলের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। রাষ্ট্রদূতের সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা কুয়ুং-রে লি।

সেমিনারের মুখ্য আলোচক রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া আজ যে অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে, তা সম্ভব হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, শিক্ষা, প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং দক্ষ জনশক্তির কারণে। আমাদের দেশ ১৯৫০-এর দশকে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে উঠে এসে আজ একটি আধুনিক, শিল্পোন্নত ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক পর্যায়ে নয়, উন্নয়ন প্রকল্পেও দৃশ্যমান। বর্তমানে কোরিয়ান সরকারের সহযোগিতা সংস্থা, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল  কো-অপারেশন এজেন্সি (কঙওঈঅ)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে-জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশ, অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ। কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগও করছে, বিশেষ করে পোশাক, জাহাজ নির্মাণ ও ইলেকট্রনিকস খাতে। ভবিষ্যতে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। 
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব হাফিজুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আজকের এই সেমিনারের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা কোরিয়ার উন্নয়ন কৌশল, বাংলাদেশের সাথে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবে।’ তিনি রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিকের বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করেন এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান ।

আরও পড়ুন

সেমিনারে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা তার সমাপনী বক্তব্যে দক্ষিণ কোরিয়ার অগ্রগতিতে উচ্চশিক্ষা ও সুশাসনের অবদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন এবং তিনি এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতেও মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার বিকাশে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সহযোগিতার  ক্ষেত্র তৈরির উপর জোর দেন।

বিশেষ সেমিনারের শেষ পর্বে রাষ্ট্রদূত অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোরিয়ার শিক্ষা ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলোর সঙ্গে একাডেমিক কোলাবরেশনের সুযোগ নিয়ে আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টিতে তিনি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বপ্ন দেখে স্বপ্নভঙ্গের কষ্টই বোধহয় এদেশের ভাগ্য-আসিফ মাহমুদ

ড. ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’: নাহিদ ইসলাম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পেল আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

আমার র‍্যাম্প এখন ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট: পিয়া জান্নাতুল

কুমিল্লায় দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত যুবলীগ নেতা

শ্রীদেবীকে মনে করালেন জাহ্নবী