লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ সামালে ট্রাম্পের নয়া পদক্ষেপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানী লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনের দাবিতে চলমান বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন সামাল দিতে ৭০০ মেরিন সেনাসহ আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (৯ জুন) রাতে এই নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্স ও সিএনএনের।গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। তার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করে পুলিশ ও মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই। পুলিশ ও আইসিইর যৌথ অভিযানে গত প্রায় ৬ মাসে কয়েক হাজার নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া যেসব অঙ্গরাজ্যগুলোতে নথিবিহীন অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি— সেখানে পৃথক বন্দিশালা বা ডিটেনশন সেন্টার খোলা হয়েছে। সেসব বন্দিশালায় আটক আছেন আরও হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসী আছেন। এদের অধিকাংশই মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। সাধারণত শহরতলী এলাকাগুলোতে তারা থাকেন।
গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলী এলাকা প্যারামাউন্টে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযানে নামেন পুলিশ ও আইসিই সদস্যরা। তবে অভিযানের শুরুতেই তারা ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। প্যারামাউন্টের বাসিন্দারা তীব্র বিক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, বোতল ও মলোটভ ককটেল বা পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের সহায়তার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আধা সামরিক বাহিনী হাজার ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প।
কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার পরিবর্তে সংঘাত আরও বাড়তে থাকে। এমতাবস্থায় গতকাল সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং তাদের সঙ্গে ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাম্প।আজ চার দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
মন্তব্য করুন