বগুড়ায় নারী নির্যাতনের ঘটনায় সহযোগীসহ বিএনপি নেতা গ্রেফতার
_original_1750154394.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার: নারীকে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করে জামাইয়ের বাড়িতে লুকিয়ে থেকেও পার পেলেন না ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান রানু। অবশেষে সহযোগীসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। বগুড়া সদর থানার পুলিশ কাহালু উপজেলার বাগুইল গ্রামে অভিযান চালিয়ে সহযোগী সহ তাকে গ্রেফতার করেছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসিরের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবু জাফর মো. সালেহসহ পুলিশের একটি টিম সোমবার সকালে কাহালু উপজেলার বাগুইল গ্রামে তার জামাই সুমনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। নারী নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি হওয়ায় জামাইয়ের বাড়িতে তিনি লুকিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেফতার শাহিনুর রহমান রানু ৫৫, সদরের হাজরাদিঘী বলিয়াপাড়ার তোজাম্মেল হোসেন শাহ এর ছেলে এবং নুনগোলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি। এছাড়া গ্রেপ্তার অপরজন হল তার ভাই কামিনুর রহমান শাহ ৩৫। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনউল্লেখ্য, জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৪ জুন শনিবার রাত ৯ টার দিকে হাজরাদিঘি বলিয়াপাড়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান রানুর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত চাকু,ছোড়া, রামদা ও লাঠি সোটা নিয়ে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষ তার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম শাহ এর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা শফিকুল ইসলাম এর মেয়ে মেয়ে তাসলিমা খাতুন ২০, ছেলে তারিকুল ইসলাম কবির ১৩, ও ভাতিজি সৌমি খাতুন ২০,কে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে প্রধান আসামি শাহিনুর রহমান রানু তাসনিমা খাতুন এর শীলতা হানি করেন এবং শরীরের বুকের স্পর্শকাতর স্থানে গুরুতর ভাবে জখম করে। তাসনিমা ও সৌমিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনার বিষয়ে গত ১৬ জুন দৈনিক করতোয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ওই দিনই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
মন্তব্য করুন