ভিডিও মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

ফোনালাপ ফাঁস : বরখাস্ত হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

ফোনালাপ ফাঁস : বরখাস্ত হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। সাবেক কম্বোডিয়ান নেতা হুন সেনের সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। 

বিবিসির খবরে বলা হয়, ফাঁস হওয়া অডিওতে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলে সম্বোধন করেন এবং একজন শীর্ষস্থানীয় থাই সামরিক কর্মকর্তার সমালোচনা করেন। এই ফোনালাপ জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং তার অপসারণের দাবিতে একটি আইনি আবেদন দায়ের করা হয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি তাকে শেষ পর্যন্ত অপসারণ করা হয়, তাহলে তিনি হবেন সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় ব্যক্তি যিনি পূর্ণ মেয়াদ শেষ না করেই ক্ষমতা হারালেন। গত দুই দশক ধরে থাই রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবার আধিপত্য বিস্তার করে আসছে।

সাংবিধানিক আদালত ৭-২ ভোটে তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পেতংতার্নের পক্ষে এখন ১৫ দিনের সময় আছে তার প্রতিরক্ষার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য। এই সময়ে দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুনগ্রুনগ্রুয়াংকিত। যদি তাকে শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত করা হয়, তবে গত বছরের আগস্টের পর এটি হবে ফেউ থাই পার্টির দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী অপসারণের ঘটনা। গত বছর একই কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্রেত্থা থাভিসিনকেও বরখাস্ত করা হয়েছিল, কারণ তিনি তার মন্ত্রিসভায় এক সাবেক আইনজীবীকে নিয়োগ দেন যিনি একসময় জেল খেটেছিলেন।

আরও পড়ুন

স্রেত্থার বরখাস্তের কয়েক দিনের মধ্যেই পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তিনি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কমবয়সী (৩৮ বছর) প্রধানমন্ত্রী এবং তার ফুফু ইয়াংলাক সিনাওয়াত্রার পর দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যতক্ষণ না দুঃখ প্রকাশ করছো, শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শতবর্ষী কড়াই গাছে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন

এইচএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা আটক

লস অ্যাঞ্জেলেস মাতালেন নগরবাউল জেমস

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

সামাজিক মাধ্যমের ‘প্রোফাইল লক’ থাকলে মিলবে না মার্কিন ভিসা!