ভিডিও বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

নোয়াখালী বিএডিসি কার্যালয়ে দুদকের হানা,সরকারি অর্থ আত্মসাৎ

নোয়াখালী বিএডিসি কার্যালয়ে দুদকের হানা,সরকারি অর্থ আত্মসাৎ

অনিয়ম-দুর্নীতির নানা অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) নোয়াখালীর উপপরিচালক (বীজ বিপণন ও এএসসি) নুরুল আলমের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মৃত ব্যক্তি, প্রবাসী ও অনিয়মিত শ্রমিকদের নামে ভুয়া ব্যাংক হিসাব খুলে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, চাষিদের প্রশিক্ষণের আয়োজন না করে প্রশিক্ষণ ভাতা উত্তোলন, নিজ ভাইকে ঠিকাদার সাজিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে মালামাল সরবরাহ না করেই অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়।

আজ মঙ্গলবার (০১ জুলাই) দুপুরে দুদকের উপসহকারী পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান চালায়। অভিযানে নুরুল আলমের বিরুদ্ধে তার ভাইকে ঠিকাদার বানিয়ে মালামাল সরবরাহ না করা, মৃত ব্যক্তি, প্রবাসী ও অন্যত্র কর্মরতদের শ্রমিক দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, প্রশিক্ষণের আয়োজন না করেই প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী  বলেন, নোয়াখালী বিএডিসি কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সেখানে অভিযান চালানো। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে নেওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়, নামে-বেনামে অনিয়মিত শ্রমিক, মৃত ব্যক্তি এবং প্রবাসীদের নামে ভুয়া ব্যাংক হিসাব খুলে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করছেন বিএডিসি নোয়াখালীর উপপরিচালক নুরুল আলম। বিএডিসির বীজ বিপণন শাখার নথিপত্র পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে এসব বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘সবাইকে ম্যানেজ করা আছে, দুদক কিংবা ঊর্ধ্বতন কেউ আমার কিছুই করতে পারবে না।

আরও পড়ুন

 

বিএডিসির নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপপরিচালক নুরুল আলম নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বীজ বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিএডিসির পক্ষ থেকে এই তিন জেলার কৃষকদের বীজ সরবরাহ করা ও সে লক্ষ্যে বীজ সংগ্রহ-ক্রয়ের কাজটিও হয় তার অধীনে। এই কাজেই করেছেন অনিয়ম। মৃত ব্যক্তি, প্রবাসী ও অনিয়মিত শ্রমিকদের নামে ভুয়া ব্যাংক হিসাব খুলে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিএডিসিতে কৃষকদের অভিযোগের পরও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিএডিসি। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষক ও কার্যালয়ের কর্মচারী এবং ডিলাররা।

কার্যালয়ের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, বিএডিসির নোয়াখালী কার্যালয়ে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক ছিলেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার চকরা গ্রামের তুলুপুকুরিয়া বাড়ির আব্দুল মুনেফের ছেলে আবুল কাশেম মনির হোসেন। অসুস্থতাজনিত কারণে ২০২৫ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। সেদিন বিকালে মনির হোসেনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হলেও বিএডিসির কাগজে-কলমে এখনও জীবিত থেকে মজুরি নিচ্ছেন। মৃত্যুসনদ অনুযায়ী, তিনি এপ্রিল মাসের ২০ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে বিএডিসির হাজিরা খাতায় জীবিত। তার নামে মজুরি ও গত ঈদ বোনাস তোলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জের জোতপাড়া নৌঘাট পরিণত হয়েছে মনোরম বিনোদন কেন্দ্রে

লালমনিরহাটে লাম্পি স্কিন রোগে শতাধিক গরু মারা গেছে

বগুড়ার শিবগঞ্জে তিনটি হিমাগারে হামলা-ভাঙচুর, হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদ

বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, কারাগারে মাদরাসা সুপার

নওগাঁর রাণীনগরে বিস্ফোরক মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার

নওগাঁর রাণীনগরে ৩ মাদকসেবীর কারাদন্ড