বেনাপোল বন্দর থেকে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ বেচারাম প্রামাণিক (৪৩) নামে একজন ভারতীয় ট্রাকচালককে আটক করেছে আনসার সদস্যরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরের কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল গেট থেকে পাসপোর্টসহ তাকে আটক করে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যরা।
সূত্র জানায়, সার্বিয়ার ভিসা লাগানো পাসপোর্টগুলো ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনছিল ট্রাকচালক বেচারাম প্রামাণিক। সবগুলো পাসপোর্টে গত ২৪ জুন তারিখে সার্বিয়ার ভিসা লাগানো রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কোনও দেশে ঢোকার জন্য তারা এ ভিসা লাগিয়েছিল।
বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার কমান্ডার হেলালউজ্জামান জানান, আগে থেকে তাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল, ভারত থেকে অবৈধভাবে ভারতীয় এক ট্রাকচালককে দিয়ে বাংলাদেশি বেশ কিছু পাসপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। পরে তারা বন্দরের ভেহিকেল টার্মিনাল গেটে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে। একপর্যায়ে সন্দেহভাজন ওই ট্রাকচালক পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম সম্পন্ন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বন্দর ভেহিকেল টার্মিনাল গেটে আসলে তার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। এ সময় ওই ব্যাগের মধ্যে থেকে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। ওই পাসপোর্টের প্রত্যেকটিতে সার্বিয়ার ভিসা লাগানো রয়েছে। আটক ট্রাকচালককে পাসপোর্টসহ থানা পুলিশে সোপর্দ করার কার্যক্রম চলমান আছে।
আরও পড়ুন
উদ্ধার পাসপোর্টগুলো হলো- চাঁদপুরের মনোহরগাজীর ছেলে মোজাম্মেল হোসেন, নোয়াখালীর রফিউল্লার ছেলে ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জের রিপন মিয়ার ছেলে অপূর্ব মিয়া, ঢাকার আব্দুল মাজিদের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজি আব্দুল মান্নানের ছেলে ইসহাক, সাতক্ষীরার খলিল গাজীর ছেলে হুমায়ন কবির, ঢাকার দানেশ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, গাজীপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জের আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম, নোয়াখালীর আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুল কাদের, আলাউদ্দীনের ছেলে আব্দুল আজিজ, সাহেব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম, অমল চন্দ্র দাসের ছেলে রুপম চন্দ্র দাস, সাতক্ষীরার রেজাউল ইসলামের ছেলে তানভির হাসান, নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন, নুর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জাকারিয়া, ইউনুছের ছেলে আবু সাঈদ, ফেনির মোরশেদ আলমের ছেলে আব্দুল করিম ও নরসিংদীর বাতেন মিয়ার ছেলে ফাইম মিয়ার।
এদিকে, পাসপোর্ট আটকের ঘটনা জানতে রাতে বন্দরে ভিড় জমান বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তবে এসব পাসপোর্টধারীরা কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অন্য কোনও অপরাধী চক্র কি না তা তদন্ত করছে পুলিশ।