রমনায় বাসা থেকে ১০ বছরের গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর রমনার একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে ১০ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিশুটির নাম মোছা. সুফিয়া আক্তার। সে সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
সোমবার (১৪ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রমনা মডেল থানাধীন ওয়াইসিসি আবাসিক এলাকার একটি ভবনের অষ্টম তলায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে বাথরুমের পানির লাইনের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন, ‘মেয়েটি চিকিৎসক সাইফুর রহমান খান নাঈমের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। ওই সময় বাসার মালিক পরিবারসহ কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছেন। বাসায় তখন মোট চার জন গৃহকর্মী ছিল, তাদের একজন সুফিয়া।” তিনি আরও বলেন, ‘বাথরুম থেকে পানি বের হচ্ছিল এবং দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয়। পরে জানালার কাচ ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় সুফিয়া ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
জানা গেছে, নিহত সুফিয়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করছিল। শিশু বয়সে গৃহকর্মে যুক্ত হওয়া এবং তার রহস্যজনক মৃত্যু নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে শহরের অভিজাত এলাকাগুলোতে শিশুদের দিয়ে কাজ করানোর নৈতিকতা ও আইনি বাধ্যবাধকতা নিয়ে।
আরও পড়ুনঘটনার সময় বাসায় উপস্থিত গাড়িচালক আবদুল আউয়াল বলেন, ‘ভোরে অন্য একজন গৃহকর্মী বাথরুমে যেতে চাইলে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকিতেও সুফিয়ার সাড়া না পেয়ে জানালার কাচ ভেঙে দরজা খোলা হয়। তখন দেখা যায়, সে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’
এসআই জানান, মরদেহটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন