দিনাজপুর-৪ আসনে বিএনপি শক্তিশালী, ভোট বাড়াতে মরিয়া জামায়াত, এনসিপি কমিটি নির্ভর

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সংসদীয় আসন-৯ দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) এ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের ও সাধারণ জণগনের সমর্থন পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশিরা ইতোমধ্যে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রের সবুজ সংকেতের জন্য সিনিয়র নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় তৃণমুল নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে জনসাধারণের মাঝে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে দৌঁড়ঝাপও শুরু করেছেন।
দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনটি বেশির ভাগ সময়ই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে আখতারুজ্জামান মিয়া আওয়ামীলীগের প্রার্থী হুইপ মিজানুর রহমান মানুকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিএনপির পক্ষে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনী এলাকায় ভালো অবস্থানের কারণে ২০০৮ সালে ও ২০১৮ সালে দল আবারও তাকে মনোনয়ন দেয়।
বর্তমানে দিনাজপুর জেলার এ আসনটিকে বিএনপির ভোটব্যাংক হিসেবে গণ্য করা হয়। আখতারুজ্জামান ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি এড. আব্দুল হালিম ও অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুনজামায়াতে ইসলামীও মাঠে সরব প্রচারণায় রয়েছেন। এ আসনে জামায়াতের রংপুর অঞ্চল টিম সদস্য ও চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাবউদ্দিন মোল্লা কেন্দ্রীয়ভাবে চুড়ান্ত মনোনিত হয়ে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারা ইতিমধ্যে পুলিং এজেন্ট গোপনে ঠিক করে ফেলেছেন।
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্য থেকে নতুন ভাবে গঠন করা এনসিপি এখনও কমিটি নির্ভর। পুরোপুরি কমিটির কার্যক্রম দৃশ্যমান নাই। দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইমামুর রশিদ, উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারি সোহেল সাজ্জাদ বিভিন্নভাবে ছুটে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনী মাঠে তাদের তেমন কোন কার্যক্রম নাই বললেই চলে। জাতীয় পাটির অবস্থা আরো শোচনীয়।
তাদের কমিটিও তেমন নাই। কোন কার্যক্রমও তাদের নাই। এছাড়াও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন নদভী গণ সংযোগ করে বেড়াচ্ছেন।
মন্তব্য করুন