শিশু শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং, অভিযুক্তকে পিটুনি দিয়ে সেনা ক্যাম্পে সোপর্দ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার অভিযোগে আব্দুল খালেক মন্ডল (৪৫) নামের এক ভ্যানচালককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার সন্ধানী স্কুল সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ভ্যানচালক আব্দুল খালেক মন্ডল গাংনী পৌর এলাকার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত চেতন মন্ডলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হান্নান জানান, খালেক মন্ডল দুপুরে সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে গাড়াডোব গ্রামে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাঁশবাড়িয়া নামক স্থানে একজন ছাত্রী নেমে গেলে অপর ছাত্রীকে একা পেয়ে অশালীন মন্তব্য করতে থাকে। শিক্ষার্থীটির দাবি, খালেক তাকে উদ্দেশ্য করে বারবার খারাপ কথাবার্তা বলছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিশুটির বাবা বলেন, ঘটনার পর আমার মেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাড়িতে এসে বিষয়টি জানালে তারা তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন নিয়ে অভিযুক্ত ভ্যানচালককে ধরে ফেলি। পরে উত্ত্যক্ত করার দায়ে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে গাংনী সেনা ক্যাম্পে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুনওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই ঘটনা এবারই প্রথম নয় এর আগেও হয়েছিল। গত ২১ জুলাই কোনো এক ভ্যানচালক আমাদের মেয়েকে একা পেয়ে ভ্যানে উঠিয়ে অশ্লীল কথা বলেছিল।
গাংনী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাণী ইসরাইল বলেন, অভিযুক্ত ভ্যানচালক আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন