গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে খুচরা সার ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক খুচরা সার ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি অফিসারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন পিনুর মোড়ে বাদশা মিয়ার ঘর থেকে এ সার উদ্ধার ও জব্দ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: জসিম উদ্দিন। বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অবৈধভাবে রাখা ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। পরে জব্দকৃত সার উপজেলা কৃষি অফিসারের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ঘরের মালিককে না পাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মিজানুর রহমান ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল। তিনি বলেন, যতটুকু জানি, এই সারগুলো বিসিআইসি ডিলার ননি গোপাল চন্দ্র সরকার ও মৃত প্রদীপ চন্দ্র মোদকের।
তাদের গোডাউন সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতলা বাজারে এবং আর একটি গোডাউন রামজীবন ইউনিয়নের ডোমের হাট বাজারে। দহবন্দ ইউনিয়নে এ সার কিভাবে এলো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাইবান্ধা জেলা বাফার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার ডিলার ননি গোপাল চন্দ্র সরকার উত্তোলন করেন। সার বহনকারী ট্রাকের নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো-ন ১৯-৫৯৮৫।
আরও পড়ুনউপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির বলেন, বিষয়টি জানার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঘটনাস্থলে যাই এবং খুচরা সার ব্যবসায়ী বাদশা মিয়ার ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। যা এখন আমার জিম্মায় রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, সারগুলো কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ওই ঘরে মজুদ করে রাখা হয়েছিল।
ডিলার ননি গোপাল সরকারের ছেলে রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, প্রদীপ চন্দ্র ও আমাদের বরাদ্দকৃত সার একসঙ্গে তোলা হয়। আমাদের বরাদ্দ করা টিএসপি সার আমরা নিয়েছি এবং প্রদীপ চন্দ্রের বরাদ্দ করা টিএসপি সার তার ম্যানেজারকে দিয়েছি। বাদশা মিয়ার ঘরে কীভাবে গেল বিষয়টি প্রদীপ চন্দ্রের ম্যানেজার জয়ন্ত বাবু ভালো বলতে পারবেন।
প্রদীপ চন্দ্র মোদকের ম্যানেজার জয়ন্ত বলেন, অন্য কোথাও টিএসপি সার বিক্রি করা হয়নি। তবে আমার গোডাউনে জায়গা না থাকায় পার্শ্ববর্তী দহবন্দ ইউনিয়নের খুচরা সার বিক্রেতা বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন