মাদারীপুরে বিএনপির মিছিলে থাকা ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও তার দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মাদারীপুর পৌরসভার নতুন মাদারীপুর গ্রামের আজিজ মুন্সির ছেলে লিখন মুন্সি (৩৫), মিলন মুন্সি (৩০) ও সোহাগ মুন্সি (২৮)।
এদের মধ্যে লিখন মুন্সি শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সি হত্যা মামলার আসামি ও মাদারীপুর পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি। একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধি তিনি।
পুলিশ, স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে একটি বিজয় মিছিল শকুনি লেকেরপাড় থেকে বের হয়ে ইটেরপুলের দিকে রওয়ানা দেয়। এতে অংশ নেন লিখন মুন্সিসহ তার চার ভাই। এসময় পেছন থেকে লিখনের মেঝ ভাই মিলনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। কুপিয়ে জখম করা হয় মিলনকে। তাকে বাঁচাতে লিখন ও সোহাগ এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।
আরও পড়ুনআহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। পরে তিন ভাইকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
আহত মিলন মুন্সি বলেন, ‘আমার ভাইকে অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছিল সন্ত্রাসীরা। পরে আমি ও আমার আরেক ভাই তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের কুপিয়ে জখম করা হয়। আমি অনেককেই চিনি। আপাতত তাদের নাম বলবো না। তবে তাদের নামে মামলা করা হবে। এ ঘটনায় আমার আরেক ভাই শ্রমিকদল নেতা সেলিম মুন্সি দূরে থাকায় তাকে কোপাতে পারেনি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সি হত্যাকাণ্ডের জেরে এই হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৩ মার্চ রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার নতুন মাদারীপুর এলাকায় সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি (একাংশ) ও নতুন মাদারীপুর এলাকার মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে শাকিল মুন্সিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৬ মার্চ দুপুরে নিহতের বড় ভাই হাসান মুন্সি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৬৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় লিখন মুন্সিকে।
মন্তব্য করুন