কাসুন্দী’তে লুইপা’কে ঘিরেই স্মরনীয় সন্ধ্যা..

অভি মঈনুদ্দীন ঃ বাংলাদেশের এই প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে নিজের মিষ্টি আর সুরেলা কন্ঠ দিয়ে ‘সেরাকন্ঠ’খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী জিনিয়া জাফরিন লুইপা নিজের একটা আলাদা অবস্থান তৈরী করে নিয়েছেন। তার প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে তিনি এক অনন্য উচ্চতায় চলে গেছেন।
বছরজুড়ে স্টেজ শো;েত যেমন রয়েছে তার ব্যস্ততা। ঠিক তেমনি টিভি শো’তেও রয়েছে তার ব্যস্ততা। তার কন্ঠে বেশকিছু আধুনিক গানও পেয়েছে জনপ্রিয়তা। শোগুলোতে নিজের মৌলিক গান পরিবেশন করার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের পুরোনো দিনের বাংলা গানও দারুণ গাইতে পারেন লুইপা।
বগুড়ার মেয়ে লুইপার স্বামী বাংলাদেশের প্রখ্যাত মিউজিসিয়ান আলমগীর। তাদের একমাত্র কন্যা পায়রা। আজ লুইপার জন্মদিন।
বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে পেশাগতভাবে যাত্রা শুরুর পর থেকেই লুইপার স্বামী আলমগীর দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপনের চেষ্টা করেন সবসময়। তবে এবার জন্মদিন আসার আগেই অর্থাৎ গত ৬ আগস্ট তার জন্মদিন অগ্রীম উদযাপন করা হয়। মূলত জন্মদিনের দিনটিতে লুইপা আনুষঙ্গিক নানান কাজে ব্যস্ত থাকবেন বিধায় গত ৬ আগস্ট তার জন্মদিন উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
আরও পড়ুনএবার তার জন্মদিনের আয়োজন করে রাজধানীর ধানমণ্ডির সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত ‘কাসুন্দী রেঁস্তোরা লিঃ’। সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের উদ্যোগেই তার জন্মদিন উদযাপনের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে লুইপাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ও দোয়া করতে উপস্থিত হয়েছিলেন গায়ক সাব্বির জামান, ইউসুফ আহমেদ খান, নৃত্যশিল্পী-অভিনেত্রী উপমা, রয়েল ক্যাফের কর্ণধার প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার, হাওড় জিন্সের কর্ণধার মোঃ রমিনুল হক সায়াদ, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী’, সাংবাদিক রিমন মাহফুজ, অচিন্ত্য চয়ন, আফসানা আশা’সহ আরো অনেকেই। লুইপা তার স্বামী আলমগীর ও তার কন্যা পায়রাকে নিয়ে এই আয়োজনে উপস্থিত হয়েছিলেন।
লুইপা বলেন,‘ আমি শুধু এতোটুকু জানতাম যে জন্মদিনের আগে ছোট্ট একটি আয়োজনে আমাকে কথা বলতে হবে। কিন্তু আমার জন্মদিনকে ঘিরেই যে এমন বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে তা সত্যিই আমি একটুও টের পাইনি। প্রতিটি মুহুর্তে আমি সত্যিই এতো বিস্মিত হচ্ছিলাম তা ভাষায় প্রকাশের নয়। আমার জন্মদিনকে ঘিরে দু’দিন আগে এমন আয়োজনে সত্যিই মুগ্ধ আমি। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই অভি মঈনুদ্দীন ভাইকে, যিনি আমার পেশাগত সঙ্গীত জীবনের শুরু থেকেই অনেক বড় অনুপ্রেরণা হয়ে আমার পাশে ছিলেন এবং আছেন এখনো। কাসুন্দী রেঁস্তোরা লিঃ-পরিবারের প্রতিও অনেক ভালোবাসা। কারণ পুরো আয়োজনটি তারাই সফল করেছেন। কাসুন্দীর আরো সফলতা কামনা করছি। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।
উল্লেখ্য, লুইপার কন্ঠে উল্লেখযোগ্য মৌলিক গান হচ্ছে ‘এই দেখা শেষ দেখা’,‘ ছায়বাজি’, ‘জেন্টলম্যান’,‘ ধীরে ধীরে’,‘ রঙ্গিলা হাওয়া’,‘ মন খারাপের দিন’,‘
মন্তব্য করুন