প্রাইভেটকার চালককে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের লালপুরে প্রাইভেটকার থামিয়ে চালক সাইদুর ইসলাম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার রাগ ও ক্ষোভে পরিকল্পিতভাবে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আটক তাওহিদুল ইসলাম (২০) হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন লালপুর থানার ওসি মমিনুজ্জামান।
গ্রেফতারকৃত তাওহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বাহেরমালী গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে। নিহত সাইদুর ইসলাম (৩৫) ভেড়ামাড়া উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে। গতকাল রোববার এই তথ্য নিশ্চিত করে লালপুর থানার ওসি মমিনুজ্জামান জানান, ঘটনার দিন নিহতের ছোট ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাতেই লালপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তিকে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে দেখে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তাওহিদুল ইসলাম নিহত চালক সাইদুর রহমানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানায়, সাইদুর রহমান অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ছিলো।
আরও পড়ুনসেই রাগ ও ক্ষোভে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় কুষ্টিয়া থেকে বনপাড়ায় যাওয়ার জন্য যাত্রী সেজে তার প্রাইভেটকার ভাড়া নেন। পথে লালপুর-বনপাড়া আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার গোপালপুর নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুলের পাশে প্রাইভেটকার থামিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে এবং ছুরিটি গাড়িতেই ফেলে পালিয়ে যায়। গাড়িতে যাত্রী হিসেবে তাওহিদুল ইসলাম একাই ছিলেন।
ওসি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত তাওহিদুল ইসলামকে গত শুক্রবার আদালতে হাজির করা হলে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং এরসাথে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন