‘অপুকে নির্যাতন করে উপদেষ্টার নাম বলা হয়েছে’

গ্রেপ্তার হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুর স্ত্রী আনিসা এবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ।বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এ সাক্ষাৎকারে তিনি নানা বিষয় তুলে ধরেন। আনিসা বলেন, আমি গত ২৬ জুলাই তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত চুপ ছিলাম। এ কয়দিন আমি দেশের মানুষে কথাবার্তা শুনেছি, মিডিয়া ট্রায়াল দেখেছি। কিন্তু সত্যটা আসলে আড়ালেই থেকে গেল। আমি সত্যটা উন্মোচন করতে চাই।
তিনি বলেন, জানে আলম অপু অসহায় একটা ছেলে। ওর বাবা-মা কেউ নেই, ওকে ব্যাকআপ দেওয়ারও কেউ নেই। ওর বুকে শুধু সাহস ছিল, দেশের জন্য কিছু করবে এই স্পৃহা ছিল। অপুর স্ত্রী জানান, গ্রেপ্তার হওয়ার আগে গোটা একটা রাত অপু অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। বেআইনিভাবে সারারাত তাকে রেখে মানিসিক অত্যাচার করা হয়েছে। ভিডিও ক্লিপ বানিয়ে, কেটে কেটে জোড় লাগিয়ে এখন ছাড়া হচ্ছে।
আনিসা প্রশ্ন রাখেন, এতদিন কেন এগুলোর সামনে আসেনি? এখন কেন এই ভিডিওগুলো প্রকাশ করা হচ্ছে? এগুলোর উদ্দেশ্য কী? এগুলোতে কার লাভ হইতে পারে?
তিনি আর জানান, অপুকে তুলে নিয়ে যায় একজন রাজনৈতিক নেতা। তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়, কোথায় রাখা হয়, তার সঙ্গে কী করেছে সব প্রমাণই আমার কাছে আছে।
অপুর স্ত্রী জানান, এসব কিছুর উদ্দেশ্য ছিল একটাই যেন এক উপদেষ্টার নাম নিয়ে আসা। অপু কিন্তু কোথাও বলে নাই একজন উপদেষ্টা তাকে চাঁদার টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে। চার দিন রিমান্ডে যখন ছিল তখন পুলিশ বিভিন্নভাবে ওকে ব্ল্যাকমেইল করেছে শুধু একটা নাম প্রকাশ করার জন্য। সেটা হচ্ছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আরও পড়ুনতিনি জানান, এ নামটা স্বীকার করানোর জন্য অপুকে দুই হাজার পুলিশ হত্যা মামলার আসামি করানোর হুমকিসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এতদিন যত ঘটনা ঘটেছে সবই হচ্ছে একজনকে ফাঁসানোর জন্য, তিনি হচ্ছে আসিফ মাহমুদ। ওনার নামটা নিলে যার স্বার্থ হাসিল হতে পারে তাদেরই এই কাজ।
আনিসা বলেন, আমি যখন ৮ আগস্ট অপুর সঙ্গে দেখা করি তখন ছেলেটা কান্না করে করে বলেছে, আমার হাতে আসলে কিছুই ছিল না। আমার অবস্থা এমন ছিল যে, তখন যদি আমাকে বলে আমি মার্ডার করছি তাহলে আমার তা স্বীকার করতে হতো।
আনিসা আরও বলেন, আমি এতদিন অপুর কথা ভেবে চুপ করে ছিলাম। এখন দেখি সমস্যা বেড়েই যাচ্ছে। এখন আর সহ্য করা যাচ্ছে না, চুপ করে বসেও থাকা যাচ্ছে না। আমার জীবনের নিরাপত্তা নেই, আমার স্বামীর জীবনেরও নিরাপত্তা নেই। আমি চাই এসব কিছু বন্ধ হোক। আমার যদি এখন কোনো ক্ষতি হয় বা আমার স্বামীকে অন্য কোনো মামলা ফাঁসানো হয় আমি কিন্তু চুপ করে থাকব না। আমার কাছে সব কিছুর প্রমাণ আছে।
মন্তব্য করুন