বাড়িতে ঢুকে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, গর্ভেই মারা গেলো সন্তান

নতুন জীবনের স্পন্দন ছিল হালিমা খাতুনের (৩৭) গর্ভে। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। কিন্তু নির্মম মারধর সেই স্বপ্নকে কেড়ে নিল চিরতরে। গর্ভের সন্তানকে হারালেন তিনি, আর নিজেও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায়।
ঘটনাটি ঘটে ৯ আগস্ট সকালে, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বল্লপুর গ্রামে।
অভিযোগের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় চারজনসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি পূর্ব শত্রুতার জেরে ইমাম হাফেজ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ শুরু করে। তখন বাড়িতে ছিলেন শুধু তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালিমা। গালিগালাজ বন্ধ করতে অনুরোধ করায় অভিযুক্তরা লোহার রড, জিআই পাইপ, হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে তাকে।
মারধরের এক পর্যায়ে তার তলপেটে লাথি ও পাইপের আঘাত লাগে। গুরুতর জখমের কারণে গর্ভপাত হয়ে যায়, পাঁচ মাসের সন্তান জন্মের আগেই মারা যায়। এসময় হামলাকারীরা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা লুট করে এবং ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। হামলায় হালিমার মেয়ে নাইমা খাতুনকেও মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন১৪ আগস্ট সকালে হালিমা মৃত সন্তান প্রসব করলে পরিবার থানায় খবর দেয়। পুলিশ নবজাতকের মরদেহ ও মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হালিমাকে ভর্তি করা হয় আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, আর নবজাতকের মরদেহ পাঠানো হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য।
ভুক্তভোগীর স্বামী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার সন্তানকে তারা মেরে ফেলেছে। স্ত্রী এখনো ব্যথায় কাতরাচ্ছে। আমি এই নৃশংস ঘটনার বিচার চাই।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন