চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর আঙুল বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা
_original_1755353271.jpg)
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে মো. সালাউদ্দিন (৩২) নামের এক প্রবাসীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুরের কন্ট্রাক্টর পোলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এতে সালাউদ্দিনের বাঁ হাতের কবজি কেটে যায় এবং একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়। তিনি আলীপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত সালাউদ্দিনের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, দাবি করা চাঁদা না পেয়ে একই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবীরা ওই হামলা চালিয়েছে।
হামলার শিকার সালাউদ্দিনের মামা আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, সালাউদ্দিন তার মায়ের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতেন। বছরখানেক আগে তিনি দেশে আসেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তার নতুন করে কাতার যাওয়ার কথা ছিল। তার মা বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছেন।
আরও পড়ুনআবদুল কাদের জানান, গত তিন-চার মাসে সালাউদ্দিন তাদের গ্রামের নিজ বাড়ির কিছু পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করেন। ওই সম্পত্তি বিক্রি করায় স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। সালাউদ্দিন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তার সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে সালাউদ্দিন সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বাঁচতে তার মায়ের পরামর্শে কন্ট্রাক্টর পোল এলাকায় বাসা ভাড়া নেন।
আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে সালাউদ্দিন বাসা থেকে মোটরসাইকেল যোগে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে কন্ট্রাক্টর পোলের জয়নাল আবেদিন স্কুল এলাকায় রিদনের গতিরোধ করে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তারা এ সময় কুপিয়ে সালাউদ্দিনের বাঁ হাতের কবজি মারাত্মকভাবে জখম করে। এতে কনিষ্ঠ আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারা সালাউদ্দিনের সঙ্গে থাকা পাঁচ লাখ টাকা, মুঠোফোন ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান তিনি বলেন, হামলার শিকার ব্যক্তিকে তিনি দেখেছেন। কবজি কাটা হয়নি, ধারালো অস্ত্রে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তবে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে। পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন