প্রেমিকাকে কেটে ৭ টুকরো, কুয়া থেকে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে নির্মমভাবে খুন হলেন এক নারী। প্রেমিকাকে কেটে ৭ টুকরো করা হয়। গত সপ্তাহে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে ঘটে এই হাড় হিম করা ঘটনা। রচনা যাদব নামের ওই নারীর মাথাবিহীন দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানায়,তার প্রাক্তন প্রেমিক মাহেবা গ্রামের প্রধান সঞ্জয় প্যাটেল, তার ভাগ্নে এবং বন্ধুর সাহায্যে ৩৫ বছরের রচনাকে খুন করা হয়।
সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ বিবিজিটিএস মূর্তি জানান, রচনা সঞ্জয়কে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে চাননি কারণ সঞ্জয় বিবাহিত ছিল এবং তার দুটি সন্তানও ছিল।
৯ অগাস্ট সঞ্জয়, তার ভাগ্নে সন্দীপ প্যাটেল এবং বন্ধু প্রদীপ ওরফে দীপক আহিরওয়ারকে নিয়ে রচনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তারপর তার দেহ ৭ টুকরো করে কেটে বস্তায় ভরেন এবং একটি কুয়োতে ফেলে দেন। মাথা এবং পা লখেরি নদীতে ফেলে দেন যাতে শনাক্ত করা না যায়।
১৩ অগাস্ট রচনার দেহ উদ্ধার হয়। মাথা ছাড়া। পুলিশ মাথা শনাক্ত করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, ‘আমরা সমস্ত দেহাংশ উদ্ধার করেছি এবং দুইজনকে গ্রেফতার করেছি, তৃতীয় অভিযুক্তের সন্ধান করছি।’
গ্রামবাসীরা দেহটি রচনার বলেই সন্দেহ করে এবং তার ভাই দীপক যাদবকে খবরটি জানানো হয়। এছাড়া সঞ্জয়ের সঙ্গে একাধিক ফোন কলের রেকর্ড পায় পুলিশ।
এর ফলে তার বাড়িতে রাতের বেলা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সঞ্জয় হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকারও করেন।
মালওয়ারা গ্রামের বাসিন্দা রচনার আগে দুবার বিয়ে হয় এবং তার প্রথম ঘরে দুই সন্তান আছে। দ্বিতীয় স্বামীকে ছেড়ে তিনি মাহেবার শিবরাজ যাদবের সঙ্গে থাকতেন।
২০২৩ সালে, তিনি শিবরাজ এবং তার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে যৌতুক হয়রানি, ধর্ষণ এবং হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন।
শিবরাজ জুন মাসে মারা যান, তারপরে রচনার সঞ্জয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সঞ্জয়কে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। পুলিশ সঞ্জয় এবং সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে, তবে প্রদীপ এখনও পলাতক।
সূত্র: নিউজ ১৮ বাংলা
মন্তব্য করুন