লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় সাময়িক বন্যার সৃষ্টি হয়। পানি বৃদ্ধির পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিস্তা নদী পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় গেলে নদী ভাঙনের এসব চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। বারবার ভাঙনের শিকারে নিঃস্ব হচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। কেউ কেউ আগেভাগেই ঘরবাড়ি ভেঙে উঁচু স্থানে সরিয়ে নিলেও থাকার জায়গার অভাবে পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগে বালু ভরাট করে কাজ চালালেও তীব্র স্রোতে তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বন্যা-পরবর্তী ভাঙনে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কুটিপাড়া, আদর্শ বাজার, রাজপুর ইউনিয়নের তাজপুর, চিনাতলি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারি এবং হাতীবান্ধার সিন্ধুনা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শতবর্ষী পুরোনো একাধিক বসতভিটাও নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। এদিকে পানি নেমে গেলে বানভাসিরা চর্মরোগ ও চুলকানিসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভুগছেন।
আরও পড়ুনবন্যা আর নদী ভাঙনে জেলায় ইতোমধ্যে প্রায় ৯১৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রী শুনীল কুমার বলেন, জরুরি আপদকালীন কাজের অংশ হিসেবে যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেখানে জিও ব্যাগে বালু ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন