ভিডিও বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নানা সমস্যায় বড়াইগ্রামের বনপাড়া কলেজ

নানা সমস্যায় বড়াইগ্রামের বনপাড়া কলেজ

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ বনপাড়া কলেজ স্থাপিত হয় ১ জুলাই ১৯৮৬ সালে। কলেজটিতে এক সময়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। এই কলেজ থেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি’তে স্ট্যান্ড করে কয়েকজন শিক্ষার্থী। বিদ্যাপিঠে যাতায়াতের প্রধান পথ কথিত কলেজ রোড বন্ধ সহ নানা সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে কলেজটি।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছা. কহিনুর খাতুন ও শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক এম.এ লুৎফর রহমান বলেন,  প্রয়াত অধ্যক্ষ একরামুল আলমের নেতৃত্বে ১৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পথ চলা কলেজটির বয়স এখন প্রায় ৪০ বছর। কলেজটির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ১৯৮৬-৮৭ শিক্ষা বর্ষে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৫০ জন।

তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে কলেজটিতে বিশালাকার ও কারুকার্য খচিত মূল ফটক, প্রশাসনিক, একাডেমিক, বিজ্ঞান ও কলা ভবন সহ ছাত্রীনিবাস, শহিদ মিনার নির্মিত হয়। তৈরি হয় খেলার মাঠ। কলেজটিতে বাংলা, সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান ও প্রাণী বিদ্যা এই পাঁচটি বিষয়ে অনার্স খোলা হয় এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ৩ হাজার। তাদের মধ্যে অর্ধেক ছিল ছাত্রী। এতে কলেজটির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

নানাবিধ সমস্যায় এই সুনাম এখন মলিন হয়ে গেছে। এক সময়ে নাটোর-পাবনা মহাসড়ক থেকে কলেজটির মূল গেইট পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা ছিল। যার নাম ছিল কলেজ রোড। মহাসড়ক থেকে রোড বরাবর তাকালেই দেখা যেত বিশালাকার কলেজ গেইট। সময়ের বিবর্তনে রোডটি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষার্থীরা। ছাত্রী সংখ্যা কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। প্রায় ৪০ বছর বয়সী কলেজটির বর্তমান মোট শিক্ষার্থীর সংখ্য ২১৫০ জন। কিন্তু ছাত্রী সংখ্যা মাত্র ৭২ জন।

আরও পড়ুন

কলেজের দাতা সদস্য মো. রেজাউল করিম ও সাবেক ছাত্র দল নেতা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এক সময়ে কলেজ রোড ব্যবহার করে উক্ত কলেজসহ প্রতিদিন যাতায়াত করতো শত শত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জনগণ। সে কলেজ রোড এখন বন্ধ। রোডের জায়গায় দোকান বসিয়ে ক্রমান্বয়ে দখলে নেয় কয়েকজন। পাশেই স্থাপিত হয়েছে বনপাড়া পৌরসভা। বর্তমানে ব্যস্তময় বনপাড়া পৌর গেইট ও রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে কলেজটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ব্যস্তময় সরু পথে যাতায়াতে বখাটের উৎপাতসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয় কলেজ ছাত্রীদের।

এতে ছাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। কলেজটির ঐতিহ্য ও সুনাম ফেরাতে কলেজে যাতায়াতের জন্য নিজস্ব রাস্তা কলেজ রোডটি দখল মুক্ত করা অতি প্রয়োজন। দীর্ঘ দিন কলেজটিতে দৃশ্যমান উন্নয়ন ও সংস্কার না হওয়ায় ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিনন্দন কলেজটির সুনাম ও সৌন্দর্য মলিন হয়ে যাচ্ছে।

কলেজটির পুরাতন ভবনগুলোর সংস্কার সহ উন্নয়ন প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজ কমিটির সভাপতি লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেছেন, কলেজের রাস্তা কথিত কলেজ রোড অবমুক্তকরণের জন্য আলোচনা চলমান আছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঠাকুরগাঁওয়ে বিষাক্ত সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

বগুড়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল বারী ঈসার ইন্তেকাল

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই নিম্নাঞ্চলের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ

পাসপোর্ট ছাড়া জেদ্দা গিয়ে আটক বিমানের পাইলট

জুলাই সনদ দৃশ্যমান বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিন : আবিদুর রহমান সোহেল

নৈতিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে : বিচারপতি শাহীন