ত্রিপুরায় প্রবেশের অপেক্ষায় আখাউড়া স্থলবন্দরে ইলিশের ট্রাক

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় যাওয়ার জন্য আখাউড়া স্থলবন্দরে অপেক্ষায় ট্রাক ভর্তি ২ হাজার কেজি পদ্মার ইলিশ মাছ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে ট্রাকভর্তি এ মাছ দেখা যায়। কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি ইলিশ মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মাতাব এন্ড সন্স এবং ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পরিতোষ বিশ্বাস এই বাণিজ্য করছে। ভারতের বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ মার্কিন ডলার ৫০ সেন্ট। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৫২৫ টাকা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, বন্দরে ইলিশ মাছ ভর্তি একটি ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ইলিশ মাছ রফতানিতে বন্দর মাশুল পাবে। কাগজ পত্রের কাজ শেষে যাতে দ্রুত ভারতে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য সহযোগিতা করা হবে।
এর আগে, আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছের অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। পরে বিশেষ বিবেচনায় দেশের ৩৭টি মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ১২শ’ টন ইলিশ রফতানি করার অনুমোদন দেয় সরকার। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রফতানি শেষ করতে হবে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুনউল্লেখ্য, ইলিশ রফতানি একসময় উন্মুক্ত থাকলেও, ২০১২ সালে উৎপাদন সংকটের কারণে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ২০১৯ সাল থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিশেষ বিবেচনায় সীমিত পরিমাণে ইলিশ রফতানির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রফতানি হয় এক হাজার ৩০৬ দশমিক ৮১৩ মেট্রিক টন ইলিশ। যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া রফতানি আদেশের ৪৪ ভাগ। অনেক প্রতিষ্ঠান মাছ না পেয়ে ইলিশ রফতানি করতে পারেনি। এবারও মাছ সংকট ও অতিরিক্ত মূল্যের কারণে সব মাছ রফতানি করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা করছে মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।
মন্তব্য করুন