ভিডিও সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বগুড়ায় আদালত থেকে জোড়া হত্যা মামলার আসামির পলায়ন

বগুড়ায় আদালত থেকে জোড়া হত্যা মামলার আসামির পলায়ন, ছবি: দৈনিক করতোয়া

কোর্ট রিপোর্টার: বগুড়ায় দুপচাঁচিয়া থানার জোড়া হত্যা মামলায় হাজতি আসামি রফিকুল ইসলাম (৪০) আদালত থেকে পালিয়েছে। বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা হতে জেলা কারাগারে প্রেরণের আগে বিকেল ৪ টার দিকে কৌশলে পালিয়ে যায় সে। পালানোর সময় তার হাতে হ্যান্ডকাপ ছিলনা। কৌশলে হান্ডকাপ খুলে পালিয়েছে সে। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে পুনরায় গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক রফিকুল ইসলাম বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চকপাড়া গ্রামের নছির আকন্দের ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়,আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে হাজতি আসামি রফিকুল ইসলামকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দুপচাঁচিয়া আমলি আদালতে হাজিরার জন্য জেলা কারাগার হতে প্রিজনভ্যানে তাকেসহ অন্যান্য আসামিকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর সেখান থেকে আদালতে হাজিরা শেষে বিকেল ৪ টার দিকে হাজতি আসামি রফিকুল ইসলামসহ অন্য আসামিদের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিচে প্রিজনভ্যানে তোলার জন্য  আদালত ভবনের দোতলায় লিফট ব্যবহার করা হয়।  কিন্তু লিফটে না উঠে দোতলার সিঁড়ি দিয়ে কৌশলে ভিড়ের মধ্যে হ্যান্ডকাপ খুলে পালিয়ে যায় আসামি রফিকুল।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আসামিদের দেখার জন্য ৬ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিল। কিন্তু তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হ্যান্ডকাপ খুলে কেমন করে ওই আসামি পালিয়ে গেল তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি। দায়িত্বে চরম অবহেলার জন্য এ ঘটনা ঘটেছে বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন।

জানা গেছে, কয়েক মাস আগে দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে ভয়াবহ ডাকাতি ও জোড়া খুনের ঘটনায় অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলাম। ওই রাতে সৌদি প্রবাসী শাহাজানের স্ত্রী রিভা আক্তার (৩০) ও শ্বশুর আফতাব উদ্দিন (৭০) নির্মমভাবে খুন হন। তবে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যায় পরিবারের শিশু রুকাইয়া তাসনিম মালিহা। হত্যার পর নগদ ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ও প্রায় ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় ডাকাতরা। মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার  করলেও অন্য আসামিরা এখনো অধরা। উদ্ধার হয়নি মূল লুণ্ঠিত অর্থ ও স্বর্ণালংকারও। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে রফিকুলসহ গ্রেফতার আসামিরা স্বীকার করে যে, মোট ১১ জন ওই ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিল।

নিহতদের স্বজনরা জানান, ছয়জন গ্রেফতার হলেও পাঁচ আসামি অধরা রয়েছে। এখন আবার রফিকুল আদালত থেকে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেল। এতে আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। পুলিশের গাফিলতি নাকি ইচ্ছাকৃত পালিয়ে দেয়া এর সঠিক তদন্ত চাই।

আরও পড়ুন

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( মিডিয়া) মো: আতোয়ার রহমান বলেন, পলাতক আসামি ধরতে একাধিক স্থানে অভিযান চলছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানতে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার শাজাহানপুরের নার্সারি থেকে মরিচের চারা কিনে দিশেহারা কৃষক

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ৬ উপজাতি সন্ত্রাসী আটক

করতোয়া সম্পাদকের ব্যাংক চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় আসামির ছয় মাস জেল ও ৮ লাখ টাকা জরিমানা

বগুড়াসহ দেশের ১৬ ইউনিয়নে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ওটিপি‘র মাধ্যমে চাল বিতরণ শুরু

নারায়ণগঞ্জে মিললো গাজীপুর সিটির বস্তাভর্তি এনআইডি কার্ড

বগুড়ার শিবগঞ্জে কৃষকের তিন হাজার বেগুন ও ৯শ’ কলাগাছ কর্তনের অভিযোগ