চাপে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা জলদস্যুরা
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে রাখা সোমালিয় সশস্ত্র জলদস্যুরা কিছুটা চাপে পড়েছে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সমঝোতা নিয়ে যোগাযোগের খবরের মধ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছে এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেভাল ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কথা।
অন্যদিকে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ জানিয়েছে, ছিনতাইকারী জলদস্যুদের সঙ্গে স্থলভাগের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার এবং জাহাজের মালিকপক্ষের তরফ থেকে সামরিক অভিযানের বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করে আসা হয়েছে। জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে তিন দিন ধরে মালিকপক্ষের সঙ্গে দস্যুদের যোগাযোগ চলছে।
ইইউ নেভাল ফোর্সের ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহর কাছে তাদের জাহাজ মোতায়েনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশি জাহাজটি ঘিরে ইইউ নেভির একটি হেলিকপ্টার চক্কর দেওয়ার কথাও জানানো হয়। ইইউ নেভাল ফোর্স যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেও শিগগিরই কোনো অভিযানের পরিকল্পনার বিষয়ে জানায়নি। ইইউ নেভাল ফোর্স এর আগেও জিম্মি জাহাজ আবদুল্লাহ উদ্ধারে অভিযানের আগ্রহ দেখালেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়নি। জানা গেছে, জাহাজ মালিকপক্ষের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ নিয়ে দফায় দফায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করছে দস্যুরা। যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন এবং সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড স্বশাসিত অঞ্চলের পুলিশের অভিযান নিয়ে হঠাৎ চাপের মুখে পড়েছে তারা।
আরও পড়ুনএদিকে গত ১২ মার্চ সোমালিয দস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ আবদুল্লাহ ছিনতাই করার পর থেকে জলদস্যুতা নির্মূলে কাজ করা ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স ‘অপারেশন আটালান্টার’ অংশ হিসেবে জাহাজটির ওপর নজর রাখছে। ইউরোপীয় এই বাহিনী এরই মধ্যে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশ সরকার তাতে সায় দেয়নি বলে এরই মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খুরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন