ভিডিও রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৩ মামলার পলাতক আসামি সুমন গ্রেপ্তার

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৩ মামলার পলাতক আসামি সুমন গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৩ মামলার পলাতক আসামি আমজাদ হোসেন সুমন ওরফে খালাসি সুমনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

তার বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জ থানায় অগ্নিসংযোগ, হত্যা, চাঁদাবাজি মামলাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।এ ছাড়াও তিনি একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।  

গ্রেপ্তারকৃত আমজাদ হোসেন সুমন ওরফে খালাসি সুমন উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার পৌর হাজীপুর এলাকার মৃত লুৎফল হক লাতু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ।  

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার চৌমুহনী পূর্ব বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

আরও পড়ুন

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, চুরি, মাদক ও হত্যা মামলাসহ সর্বমোট ১৩টি মামলা রয়েছে। অভিযুক্ত আসামি একটি অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।  

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় আক্রমণ, ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যার ঘটনা ঘটায়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা থানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি লুট করে নিয়ে যায়। খালাসি সুমনের বিরুদ্ধে গত ২০ আগস্ট সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।  

তিনি পেশায় একজন অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী। তিনি ও তার বাহিনীর সদস্যরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এলাকার লোকজন তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্ত থাকেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ করে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে।  

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো.গোলাম মোর্শেদ আরও জানান, এলাকার লোকজন তাদের এরূপ কার্যকলাপে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করত না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনীর লোকজন তাকে মারধরসহ নির্যাতন করতো। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানায় হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজট

সারা দেশে ১৯১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে মিললো ৯ গ্রেনেড

জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েতের ডাক

শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নকারী ১০ জন গ্রেপ্তার

আজ ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস