শ্রীপুর (গাজীপুর)  প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে খাটের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে এক যুবকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখন্ড (মসজিদ মোড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনায়েত কবির জানান, এ ঘটনায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ জানায়নি।

আত্মহত্যা করা ২২ বছরের হৃদয় মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার পারিঘাটা গ্রামের পিঞ্জর মিয়া শাহিনের ছেলে।

পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, হৃদয় আগে একটি বিয়ে করেছেন। প্রায় চার মাস আগে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার মসজিদ মোড় এলাকার আফাজ উদ্দিনের বাসায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন।

স্থানীয় বাজারে কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে হৃদয়ের। গত মঙ্গলবার বিকালের দিকে দোকান থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। কিছুক্ষণ পর আবার দোকানে যান। আধা ঘণ্টা পর ফের বাসায় আসেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে হাসিঠাট্টা করে কয়েক ঘণ্টা পর আবার বাসা থেকে বের হয়ে যান হৃদয়।

রাতে বাসায় ফিরেই হৃদয় খাটের সঙ্গে তার স্ত্রীকে বেঁধে ফেলেন এবং মুখে কাপড় গুঁজে দেন। একপর্যায়ে স্ত্রীর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়েন হৃদয়। পরে স্ত্রীর চিৎকারে আশেপাশের মানুষ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে হৃদয়কে ঝুলন্ত অবস্থায় ও তার স্ত্রীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

হৃদয়ের স্বজনদের দাবি, হৃদয়ের আগের স্ত্রী রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। তবে হৃদয় কেন এবং কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তারা বলতে পারেননি।

এ বিষয়ে হৃদয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী বলেন, ‘হৃদয় আগেও একটা বিয়ে করেছে তা আমি জানি না। তার সঙ্গে পরিচয় হলে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমি তাকে বিয়ে করি। কি কারণে হৃদয় আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারছি না।’

শ্রীপুর থানার এসআই এনায়েত কবির বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।