ভিডিও

বগুড়ায় বস্তিতে আগুন লেগে ১৪টি বাড়ি ভস্মিভূত

ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের সহায়তা

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৪, ১০:৪৬ রাত
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৪, ১২:১৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় রেল লাইন সংলগ্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি বসত-বাড়ি ভস্মিভূত হয়েছে। আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। তবে এতে ব্যাপক ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হয়েছে।

চেলোপাড়া চাষী বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বাজারের উত্তর দিকে বস্তি থেকে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পরই আগুনের লেলিহান শিখায় সবকিছু পুড়তে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই বস্তিতে মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনের বসত-বাড়ির বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই বস্তিতে মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিন এবং তার ৮ সন্তানেরই ১০টি ঘর রয়েছে।

বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি তারাও শুনেছেন যে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রেলওয়ের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত বস্তি বাড়ি-ঘরে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে সংযোগ দেওয়া হয়েছিল।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক খন্দকার আব্দুল জলিল জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে পানিবাহী চারটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হলেও ঘরে রাখা জিনিসপত্র পুরে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনের কন্যা সাহেরা বেগম জানান, আগুনে তার ঘরে রাখা দেড় লাখ টাকা পুড়ে গেছে। মেয়ের বিয়ের জন্য টাকাগুলো ঘরে রাখা হয়েছিল। বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনকে বসবাসের জন্য অনেক আগেই জেলার সারিয়াকান্দি উপাজেলায় ‘বীর নিবাস’ নামে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু তিনি সেখানে না থেকে শহরের ওই বস্তিতে বসবাস করেন। জেলা প্রশাসক বলেন‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনকে তার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি-ঘর নেই এমন ৫জনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি-ঘরে বসবাস করতে বলা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি পরিবারের প্রত্যেককে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ১৪ কেজি করে চাল এছাড়াও ডাল, চিনি এবং তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দিয়ে সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি পরিরবারের প্রতেককে ২ বান ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এসবের পাশাপাশি তাদেরকে ৫টি করে কম্বলও দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS