ভিডিও

পীরগঞ্জে চাষিরা আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি করছেন

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৪, ১০:৫৬ রাত
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৪, ১০:৫৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আখ চাষিরা চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলায় আখ চাষে মাটি ও আবহাওয়া বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছরের মতো এবারও উপজেলার খালাশপীর, বড় আলমপুর, বড় ফলিয়া ও বাবনপুরসহ কয়েকটি এলাকায় গুড় তৈরি করা হচ্ছে।

জানা যায়, শীতের শুরু থেকেই নিজেদের জমিতে চাষ করা আখ মাড়াই করে গুড় তৈরির কাজ শুরু করেন তারা। আখ চাষে মুনাফার পরিমাণই বেশি থাকে। সবসময় ভেজালমুক্ত গুড় তৈরি করলেও অনেকেই আলু আটাসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য মিশিয়ে নিয়ে গুড় তৈরি করেন।

বাহিরাগত ব্যবসায়ীরা এখান থেকে গুড় কিনে মজুদ করে থাকেন। পরে মজুদকৃত গুড় মাটির তৈরি মটকা, মাটির পাতিল এবং হান্ডিতে করে বছরব্যাপী বিক্রি করেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১১২ হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৩২০ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই কিছু কিছু আখ চাষি চিনি কলে আখ বিক্রি করেন। অন্যরা আখ মাড়াই ও গুড় তৈরি করেন।

গুড় তৈরির কাজে ব্যস্ত হোসেনপুর গ্রামের রফিকুল ইমলামের জানান, লাখ টাকা ব্যয় করে আখ মাড়াই ও গুড় তৈরি সামগ্রী কিনে নিজের জমিতে স্থাপন করেছেন তিনি। নিজের জমির আখ থেকে গুড় তৈরির পাশাপাশি এলাকার চাষিদেরও গুড় তৈরি করছেন তিনি। মৌসুমে এক থেকে দেড় হাজার টাকা প্রতিদিন আয় হয় এই কারখানা থেকে।

বড় আলমপুর এলাকার আখ চাষিরা জানান, রংপুর চিনিকলের অবস্থা কাহিল হওয়ায় এলাকার চাষিরা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। সময়মতো সুগার মিল কর্তৃপক্ষ আখ ক্রয় না করা এবং আখ বিক্রির টাকা সময়মতো না পাওয়ায় অনেকেই আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

গুড় উৎপাদনের জন্য এলাকার প্রায় চাষিরা কমবেশি জমিতে আখ চাষ করে থাকেন। আখ থেকে গুড় তৈরির পাশাপাশি পাওয়া যায় উত্তম জ্বালানিও। সারাবছর প্রতিটি বাড়িতে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয় আখের উচ্ছিষ্টাংশ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পীরগঞ্জে আখ চাষ বেশি হলেও দিনে দিনে আখ চাষ হ্রাস পাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে কৃষকের কাছ থেকে চিনিকলে আখ সংগ্রহ অভিযান আগের মতো নেই। এছাড়াও একই সময়ে অন্যান্য লাভজনক ফসল শাখ-সবজি, রবিশস্য ও ভুট্টাচাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহী। তবুও উপজেলার কিছু এলাকায় চাষিরা নিয়মিত আখ চাষ করছেন।

রংপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, জেলার ৮টি উপজেলা ও মেট্রো এলাকায় চলতি মৌসুমে ৪১০ হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন। এরমধ্য রংপুর সদর উপজেলাসহ মিঠাপুকুরে ও পীরগঞ্জে আখ চাষ হলেও মেট্রোসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে আখ চাষ হ্রাস পেয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS