ভিডিও

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই দেশ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে পারত না : মজিবর রহমান মজনু এমপি

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪, ১০:১৫ রাত
আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৪, ১০:১৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এমপি বলেছেন, স্কুল জীবন থেকেই শেখ মুজিবের ভিতরে নেতৃত্ব দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পরপরই কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে নতুন রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়ে অগ্রসর হন বঙ্গবন্ধু। সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মুসলিম লীগ গঠন করেন। প্রথমের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরে আবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে শেখ লুৎফর রহমান ও শেখ সায়েরা খাতুন দম্পতির ঘর আলোকিত করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছোট্ট ‘খোকা’ই পরবর্তীতে এদেশের মানুষের পরাধীনতা মুক্তির অগ্রদূত হিসেবে আবির্ভূত হন।

তিনি আরও বলেন, তার নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলন চূড়ান্তপর্বে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ লাভ করে। বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। তার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।

বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি এ জাতির বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই দেশ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে কখনো মুক্ত হতে পারত না।

তিনি গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি বলেন, শিশুকালের সেই শিশুই পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ওজনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই পরিণত বয়সে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা।

বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পেরিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস। বিংশ শতাব্দীর বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় লাভের পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসেন। জাতি পিতা সদ্য স্বাধীন দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধী, দেশি-বিদেশি চক্র তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করে দেশকে এবং দেশের অর্থনীতিকে চিরতরে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসী পদক্ষেপে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন মেনে দেশের কল্যাণের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মকবুল হোসেন, টি জামান নিকেতা, প্রদীপ কুমার রায়, এটিএম আসাদুর রহমান দুলু, এড. জাকির হোসেন নবাব, অধ্যক্ষ শাহাদাত আলম ঝুনু, সেরিন আনোয়ার জার্জিস, এড. শফিকুল ইসলাম আক্কাস, নাসরিন রহমান সীমা, মাশরাফি হিরো, তপন চক্রবর্তী, খালেকুজ্জামান রাজা, আবু সেলিম, অধ্যক্ষ শামসুল আলম জয়, ইমরান হোসেন রিবন, সাইফুল ইসলাম বুলবুল, গৌতম কুমার দাস, আবু ওবায়দুল হাসান ববি, মাহফুজুল ইসলাম রাজ, হেফাজত আরা মিরা, আব্দুস সালাম, আলমগীর বাদশা, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু, জুলফিকার রহমান শান্ত, এড. লাইজিন আরা লিনা, রাকিব উদ্দিন সিজার, রাশেদুজ্জামান রাজন, সজীব সাহা ও আল মাহিদুল ইসলাম জয় প্রমুখ।

জেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রাজী জুয়েলের পরিচালনায় জেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা সভা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS