ভিডিও

দিনাজপুরে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

এবার চাহিদার শীর্ষে দেশি কাপড়

প্রকাশিত: এপ্রিল ০৫, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আপডেট: এপ্রিল ০৬, ২০২৪, ০১:৪৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি : ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, দিনাজপুরে ততই জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে রমজানের শুরুতে মার্কেটে ক্রেতাদের তেমন আনাগোনা না থাকলেও গত এক সপ্তাহে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।

বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা অনেকটাই বেড়েছে। দিনে দিনে ক্রেতা সমাগম বেশ বাড়ছে। এখন পর্যন্ত কাপড়ের দোকানেই বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের পোশাক, মেয়েদের জামা আর পাঞ্জাবীর দোকানে ভিড় বেশি। এবছর কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের ভেতরে অসন্তোষ থাকলেও বেচাকেনায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার এলাকার আব্দুর রহিম সুপার মার্কেট ও জাবেদ সুপার মার্কেট, উত্তরা সুপার মার্কেট, গণেশতলার গুলশান সুপার মার্কেট, মুন্সিপাড়ার লুৎফুন্নেসা টাওয়ার এবং মালদহপট্টির বিপণি বিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ক্রেতারা ভিড় করছেন। এই ভীড় চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ভিড় তুলনামূলক বেশি। এবারের ঈদে মেয়েদের জামার মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে নায়রা, সারারা, গারারাসহ বিভিন্ন বাহারী নামের থ্রিপিস ও পাঞ্জাবী। তবে এবার চাহিদার শীর্ষে রয়েছে দেশি কাপড়।

বাজারে এবার একটি নায়রা থ্রি-পিচ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকায়, আলিয়া দেড় হাজার থেকে তিন হাজারে, সারারা, গারারা দুই হাজার পাঁচশ’ থেকে পাঁচ হাজার, কাশ্মিরী দেড়হাজার থেকে তিন হাজার, বারিশ বারোশ থেকে দুই হাজার পাঁচশ’, দিল্লি বুটিকস দেড়হাজার থেকে দুই হাজার পাঁচশ’, পাকিস্তানি লন এক হাজার থেকে দুই হাজার পাঁচশ’, জমজম কটন দুই হাজার পাঁচশ’ থেকে চার হাজার, টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশি সুতি টাঙ্গাইল শাড়ি আটশ’ থেকে তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাদি জর্জেট শাড়ি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার পাঁচশ’ থেকে পাঁচ হাজারে আর জামদানি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার দুইশ’ থেকে আট হাজার টাকায়।

এছাড়া পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ছয়শ’ থেকে  দশ হাজার টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে চাহিদার শীর্ষে থাকা সিকোয়েন্স দুই হাজার থেকে তিন হাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চাদের শার্ট এর মধ্যে পপকর্ণ ও চায়না স্ট্রীচ বিক্রি হচ্ছে ছয়শ’ থেকে দেড় হাজারে।

আর বিভিন্ন রেডিমেড প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে ছয়শ’ থেকে দুই হাজার পাঁচশ’ টাকার মধ্যে। বাহাদুর বাজারের তামান্না জামদানি হাউসের স্বত্বাধিকারী শাহানাজ বেগম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো। সপ্তাহখানেক থেকে  বিক্রি বেড়েছে। তবে এবার ভারতীয় কাপড়ের তুলনায় দেশীয় কাপড়ের চাহিদা বেশি।

জাবেদ সুপার মার্কেটের নাবহান কালেকশনের স্বতাধিকারী জাফর ইকবাল রানা জানান, গত বছরের তুলনায় কাপড়ের দাম এবার কিছুটা বেশি। তবে সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত মোটামুটি বিক্রি ভালো হচ্ছে। শিশুদের কাপড়ই বেশি বিক্রি হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS