ভিডিও

চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়া বাসচালক গ্রেফতার

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১:০৯ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১:০৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়া শাহ আমানত বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার বাসচালকের নাম মো. তাজুল ইসলাম। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়। 
আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত বাসচালককে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে গ্রেফতর করা হয়েছে। তাকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠী নিহতের ঘটনার তৃতীয় দিনে এসেও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সামনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে তাদের এ বিক্ষোভ শুরু হয়। 
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা সাতটি দফা দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানান। 
শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- পলাতক চালক ও তার সহযোগীকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, নিহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা এবং আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীন সকল খরচ শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে গ্রহণ করতে হবে, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার সাথে ক্যাম্পাসে আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স-সুবিধা বৃদ্ধি, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে শাহ আমানত ও এবি ট্রাভেলসসহ সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করা, রাস্তার মাথা এলাকা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক করা, প্রতিটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স নিয়মিত যাচাই করা, ছাত্রকল্যাণ পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ছাত্র প্রতিনিধিদল গঠন করা। 
উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) আনুমানিক বেলা তিনটার দিকে রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী তওফিক হোসেন। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS