ভিডিও

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটায় পরিজার নিন্দা

প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৪, ০৬:৪৭ বিকাল
আপডেট: মে ২০, ২০২৪, ০৬:৪৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রাতের আঁধারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবেশ ও জলাবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা)।  সোমবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে পারিজার সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল এই নিন্দা জানান।

তারা বলেন, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রাজধানীতে টিকে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সবুজ বলয়ের মধ্যে অন্যতম। এই সবুজ বলয় ঢাকার তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে, ভূগর্ভস্থ পানি পুনর্বরণ, অক্সিজেন সরবরাহ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে।

রবিবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে উন্নয়নের নামে রাতের আঁধারে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটার অভিযোগ করেন পরিবেশবিদরা। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাছ কাটা শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরিজাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, সচেতন মহল ও ব্যক্তি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাবগাম্ভীর্য পরিপন্থি অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণে গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। এর আগে পরিবেশবিদসহ অন্যান্য সচেতন মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গাছ না কেটে এবং পরিবেশ সমুন্নত রেখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাজ চলমান রাখা গণতান্ত্রিক সরকারের বিচক্ষণ, দায়িত্বশীল এবং গণবান্ধব একটি সিন্ধান্ত ছিল, যা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০০৯ সালে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১০ সালে কয়েক দফা নির্দেশনা দেন। নির্দেশনায় বলা হয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা নিছক একটি এলাকা নয়। এই এলাকাটি একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে পরিগণিত হয় এবং এর একটি ঐতিহাসিক ও পরিবেশগত ঐতিহ্য আছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক ভাবগাম্ভীর্য সমুন্নত রেখে এবং পরিবেশ, প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দিয়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার আলোকে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে পারিজা। সুপারিশগুল হলো– হাইকোর্টের ২০১০ সালের নির্দেশনার আলোকে একাত্তর পরবর্তী সব ধরনের স্থাপনা শিশু পার্ক, মহানগর পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, ফুলের মার্কেট সরিয়ে নেওয়া; গাছপালা রেখে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা; নির্বিচারে গাছ নিধন বন্ধ করা; জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পাখি ও প্রাণীদের আবাস এবং খাদ্য ব্যবস্থা যেন ধ্বংস না হয় তা লক্ষ্য রাখা এবং নতুন করে তাদের আবাস ও খাদ্যের সংস্থানে সহায়ক গাছ লাগানো।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS