ভিডিও

পাত্রী চাই লিখে প্রতারণার ফাঁদ, তরুণীকে ধর্ষণের পর ধরা

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪, ০৭:৪৮ বিকাল
আপডেট: মে ২৩, ২০২৪, ০৭:৪৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুকে নিজের জন্য ‘পাত্রী চাই’ স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ওই ব্যক্তি। সরল বিশ্বাসে ওই ফাঁদে পা দিয়ে আক্রান্ত হন তরুণী।

বুধবার (২৩ মে) রাতে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নগরীর পতেঙ্গা থানা পুলিশ। গ্রেফতার শিবলী সাদিক নাঈমের (৪১) বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায়।

পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশীষ কুমার দে জানান, শিবলী সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে মীরসরাইয়ে শিল্পনগরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন কারখানায় কাজ করে আসছিলেন। মীসরাই, সীতাকুণ্ড, পতেঙ্গা এলাকায় ভাসমানভাবে থাকেন তিনি।

শিবলী ‘আসলাম চৌধুরী’ নামে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতেন। কয়েকদিন আগে তিনি ফেসবুকে ‘পাত্রী চাই’ লিখে কয়েকবার স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি নিজেকে পল্লী বিদ্যুতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম শহরে তার নিজস্ব বাড়ি ও গাড়ি আছে বলে উল্লেখ করেন। ঠিকানা লিখেন- নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার কাতিরহাট গ্রাম।

 

অন্যদিকে, আক্রান্ত ২৭ বছর বয়সী তরুণীর বাড়ি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায়। মায়ের সঙ্গে থাকেন নগরীর পতেঙ্গা এলাকায়। স্বল্পশিক্ষিত তরুণী প্রায় বাক প্রতিবন্ধী। তার মা-ও বাক প্রতিবন্ধী। মৃত বাবাও বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন।

এসআই আশীষ বলেন, ‘ফেসবুকে পাত্রী চাই স্ট্যাটাস দেখে ওই তরুণী শিবলীর সঙ্গে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন। কয়েকদিন কথাবার্তার পর তাকে বিয়ে করার কথা বলে গত ১৩ মে তার সঙ্গে পতেঙ্গার চরপাড়ায় একটি হোটেলে দেখা করেন শিবলী। সেখানে তাকে রাতভর আটকে রেখে কয়েকবার ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে তাকে মোটরসাইকেলে ফৌজদারহাটে আউটার রিং রোডের মুখে নিয়ে যায়। সেখানে তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে নামিয়ে দ্রুতবেগে মোটরসাইকেলে নিয়ে শিবলী পালিয়ে যায়।’

১৬ মে ওই তরুণী পতেঙ্গা থানায় ‘আসলাম চৌধুরী’ নাম উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামির চেহারা শনাক্ত করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান চিহ্নিত করে তাকে বুধবার রাতে শিল্পনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ওই তরুণীর মোবাইল দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এসআই আশীষ বলেন, ‘গ্রেফতারের পর আমরা তার আসল পরিচয় জানতে পারি। ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন- তার নাম আসলাম চৌধুরী, বাবার নাম অলিফ। বাড়ি নেত্রকোণা। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার নাম শিবলী সাদিক নাঈম। বাবা মৃত একেএম হুমায়ুন, মা- আনোয়ারা বেগম এবং বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের বমটেক গ্রামে। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণার উদ্দেশে সে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল এবং পাত্রী চাই স্ট্যাটাস দিয়ে ফাঁদ পেতেছিল।’

গ্রেফতার শিবলীকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই আশীষ কুমার দে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS