ভিডিও

বগুড়ার মসলার বাজারেও উত্তাপ

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ১০:৪২ রাত
আপডেট: মে ২৬, ২০২৪, ১০:৪২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : কোরবানি ঈদের বাকি এক মাসেরও কম। এই ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে গত কয়েক মাস ধরেই উত্তপ্ত দেশের গরম মসলার বাজার। যে উত্তাপ ছড়িয়েছে বগুড়ার বাজারেও। চলতি বছরে আমদানি বাড়লেও নানা অজুহাতে বেশ কয়েক প্রকার মসলার দাম বেড়েছে। সাদা ও কালো এলাচ, জিরা এবং আদা-রসুনের দামের উত্তাপে পুড়ছে দেশের মসলার বাজার।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস’র সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৪ হাজার ২৬৭ মেট্রিক টন এলাচ, ৪১ হাজার ৩৪৬ মেট্রিক টন জিরা, ৩২ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন লবঙ্গ এবং ২৯ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন গোল মরিচ আমদানি হয়েছে। এটি গত বছরের এসময়ে আমদানির তুলনায় অনেক বেশি।

আজ রোববার (২৬ মে) বগুড়ার ফতেহ আলী ও রাজা বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাদাএলাচ মানভেদে প্রতিকেজি দুই হাজার ৮শ’ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। কালোএলাচের কেজি দুই হাজার ৭শ’ টাকা। কেজিতে দাম বেড়েছে ২শ’ টাকা পর্যন্ত।

জিরা ৬শ’ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৭৫০ টাকা, লবঙ্গ এক হাজার ৭শ’ টাকা, দারুচিনি ৫৫০-৬শ’ টাকা, গুলমরিচের কেজিতে ২শ’ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৯শ’ থেকে এক হাজার টাকা এবং বজ ৯শ’ টাকা, ধনিয়ার কেজি ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আদার দাম বেড়ে ২১০ থেকে ২২০ ও রসুন ১৮০ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও হলুদের গুড়ার কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৩৫০ টাকা এবং মরিচের গুড়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়ার রাজা বাজারের মসলা বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, কোরবানি ঈদের আগে সাধারণত মসলার দাম বাড়ে। মূলত বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে এই দাম বৃদ্ধির কারসাজি করেন।

তিনি আরও বলেন, মসলা আমদানি নির্ভর পণ্য হওয়ায় মূলত আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরাই এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন, যার প্রভাব পড়ে খুচরা পর্যায়ে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS