ভিডিও

উত্তরাঞ্চলে বজ্রপাতে একদিনে নিহত ১০

উত্তরাঞ্চলে বজ্রপাতে একদিনে নিহত ১০

প্রকাশিত: জুন ০৮, ২০২৪, ১২:২১ রাত
আপডেট: জুন ০৮, ২০২৪, ০১:০১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে নারী, শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন। শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় তিনজন করে, নাটোরে দু’জন এবং দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে একজন করে মারা গেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মৃত তিনজন হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকা ইসমাইল মাস্টারের পাড়ার রাকিবুল ইসলামের মেয়ে কবিতা খাতুন (১১), পৌরসভার আলীডাঙ্গা গ্রামের সুভাষ বোকতের স্ত্রী ববি বোকত এবং ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়গাছী গ্রামের এসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০)।
জানা গেছে, দুপুরে বাড়িতে গোসলের সময় বজ্রপাতে শিশু কবিতার মৃত্যু হয়। বিকেলে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির সামনের একটি আমবাগানে দাঁড়িয়ে ছিলেন গৃহবধূ ববি। এ সময় বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয়। দুপুরে ঝড়বৃষ্টির সময় বাগানে আম কুড়াতে যায় শিশু আমেনা। এ সময় বজ্রপাতে সে অচেতন হয়ে পড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
বিকেলে বজ্রপাতে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় দু’জন এবং মান্দা উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- পত্নীতলার পাটিচড়া ইউনিয়নের নাগরখোলা গ্রামের কৃষক খাদেমুল ইসলাম ও গাহন গ্রামের গৃহবধূ মনিকা বেগম এবং মান্দার ভোলাম গ্রামের কৃষক শামসুল আলম।
পত্নীতলা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, বৃষ্টির মধ্যে মাঠ থেকে ধান নিয়ে বাড়ির উঠানে পৌঁছালে বজ্রপাতে খাদেমুলের মৃত্যু হয়। একই সময়ে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ মনিকা মারা যান।
মান্দা থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী জানান, মাঠে ধান গোছানোর সময় বজ্রপাতে ভোলাম গ্রামের কৃষক শামসুলের মৃত্যু হয়েছে। 
বদলগাছী থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে গাছের নিচে আশ্রয় নেন উপজেলার গাবনা গ্রামের আব্দুল খালেক ও হবিবুর রহমান। এ সময় বজ্রপাতে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে তারা আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর এলাকায় বজ্রপাতে আবেরা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি পৌর শহরের আনন্দ নগর মহল্লার সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী। স্বজনরা জানান, দুপুরে মেঘ দেখে বাড়ির পাশে ডোবা থেকে হাঁস ফিরিয়ে আনতে যান আবেরা। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে তিনি একটি আমগাছের নিচে আশ্রয় নেন। পাশে বজ্রপাত হলে তিনি সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
হাসপাতালের চিকিৎসক চৈতি মুন্সি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বজ্রপাতের শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আবেরা মারা গেছেন।
এদিকে নলডাঙ্গা উপজেলার বারনই নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে কামরুল হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন মো. মজনু নামে আরেক যুবক। কামরুল উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। আহত মজনু একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে জুয়েল নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের লালঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জুয়েল ওই এলাকার গোলজার হোসেনের ছেলে এবং আফতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে লিপি আক্তার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের রণশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লিপি ওই গ্রামের ফিরোজ জামানের স্ত্রী। 
 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS