ভিডিও

বগুড়ার সান্তাহারে অনুমোদন ছাড়াই সড়কের গাছ কাটার অভিযোগ, ১০টি গাছ জব্দ

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ১০:০২ রাত
আপডেট: জুন ২২, ২০২৪, ১০:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি : সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই বগুড়ার সান্তাহারে সড়কের দু’পাশ থেকে অবৈধভাবে কেটে রাখা ১০টি গাছ জব্দ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বগুড়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম গাছগুলো জব্দ করেন।

সান্তাহার ইউপির দমদমা-কদমা সড়কের রক্তদহ বিলের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে এসব গাছ কাটেন ওই এলাকার আব্দুস সালাম নামের এক কাঠ ব্যবসায়ী। কার নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান প্রকৌশলী সুলতানা খানম।

জানা গেছে, গত ১৬ বছর আগে সান্তাহার ইউপির দমদমা গ্রামের ২৮জন যুবক মিলে দলবদ্ধভাবে নিজ উদ্যোগে সড়কের দু’পাশে দেড় শতাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ রোপন করেন। হঠাৎ বুধবার সকাল থেকে দমদমা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম এসব গাছ কাটতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটতে নিষেধ করে।

দমদমা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান বলেন, ‘গাছগুলো আমার ছেলে শাহরিয়ার কবির শিপলুসহ আমার মহল্লার ২৮জন যুবক রোপণ করেন। কিন্তু তাদের না জানিয়েই গাছগুলো কাটা শুরু করা হয়। অনুমোদন ছাড়াই বৃক্ষরোপনকারীদের না জানিয়ে গাছগুলো কাটা অন্যায় এবং অপরাধ। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

জানতে চাইলে আব্দুস সালাম জানান, তিনি গাছগুলো কিনে নিয়েছেন মাত্র। গাছগুলো কাটতে দমদমা পূর্বপাড়া মসজিদের নামে একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে তাদের একটি কাগজ দিয়েছে। তবে তিনি সেই কাগজ কাউকে দেখাতে রাজি নয়।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা আদমদীঘি থানার উপ পরিদর্শক মানিক কুমার বলেন, আব্দুস সালাম অনুমোদনের কোনো কাগজ দেখাতে পারেন নি। গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু বলেন, সড়কে যে কেউ গাছ লাগাতে পারবে, তবে দরপত্র ছাড়া কেউ কাটতে পারবেন না। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।

আদমদীঘি উপজেলা বন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বগুড়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম জানান, ওই সড়কে গাছ কাটতে তারা কাউকে অনুমোদন দেননি।

অবৈধভাবে গাছ কাটায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে ১০টি গাছ জব্দ করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS