নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রতিদিন সোয়াকোটি টাকার আম বিক্রি

বাগাতিপাড়া(নাটোর)প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে প্রতিবছর কোটি-কোটি টাকার আম ঢাকাসহ যাচ্ছে সারাদেশে। তাই উপজেলার বিভিন্নস্থানে গড়ে উঠেছে আমের আড়ত। এরমধ্যে উপজেলার সবচেয়ে বড় আমের আড়ত রয়েছে উপজেলার তমালতলায়। আড়তগুলোতে এখন প্রতিদিন প্রায় সোয়াকোটি টাকার আম বেচা-কেনা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তমালতলা ছাড়াও উপজেলার বাজিতপুর, বাঁশবাড়িয়া, কৈপুকুরিয়া, পাঁকা, আজগর মোড়, গালিমপুর, জিগরী, মালঞ্চি, জামনগরসহ আরও কয়েকটি বাজারে দুই-তিনটি করে আমের আড়ত গড়ে উঠেছে। এসব আড়তে দুপুর থেকে আম আসা শুরু করে। বেচাকেনা শেষে প্যাকেজিং করে সন্ধ্যায় গাড়িতে সাজানো হয়। রাতে সেই গাড়িগুলো দেশের বিভিন্নস্থানে যায়। এছাড়া অনলাইন ও বাগান থেকে সরাসরি আম কিনে নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় লক্ষণভোগ, আম্রপালি, গোপালভোগ, হাঁড়িভাঙা, আশ্বিনা, হিমসাগর, দুধসর, ফজলি, বারী-৪ এবং তোতাপুরীসহ বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়। চলতি মৌসুমে উপজেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৩১০ মেট্রিক টন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০০ মেট্রিক টন কম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আমের দাম তিনগুণ বেশি রয়েছে। ফলে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুনকয়েকজন আড়তদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, যশোর এবং বরিশালসহ দেশের যেসব অঞ্চলে আমের চাহিদা রয়েছে সেসব এলাকায় আম পাঠান তারা। এখন চলছে পুরোদমে আম বেচা-কেনা। সবমিলিয়ে উপজেলা থেকে প্রায় সোয়াকোটি টাকার আম প্রতিদিন দেশের বিভিন্নস্থানে যাচ্ছে। আর এ ব্যবসাকে ঘিরে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থানও হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় বলেন, উপজেলায় ১ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে আমের উৎপাদন কিছুটা কম হলেও ১৩ হাজার ৩১০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে এবছর আমের দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৮০ কোটি টাকার আম বিক্রি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন