অরক্ষিত বগুড়া পৌরসভার বর্জ্যর সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন
স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া পৌরসভার বর্জ্যর অরক্ষিত সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশনের কারণে স্টেশনগুলোর পাশ দিয়ে জনগনের চলাচল করা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। শহরের প্রবেশদার এবং শহরের মধ্যে স্থাপিত সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন গুলো অচিরেই আধুনিকায়ন না করা হলে শহর দূষিত হয়ে পড়তে পারে।বর্জ্যর সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন ছাড়াও প্রতিদিন শহরের ফতেহ আলী বাজারের প্রবেশ মুখে, তিন নং রেলঘুমটি, কাঁঠালতলা এবং স্টেশন রোডের ফলের আড়কের অবর্জনা ফেলায় ওই সব স্থান অস্থায়ী ভাগারে পরিনত হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা মানছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন, পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা।
র্যাব অফিসের দক্ষিণে, কারমাইকেল সড়কে কৃষি ফার্মের পূর্বে সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশনগুলো অচিরেই আধুনিকায়ন করা দরকার। বিশেষ করে র্যাব অফিসের দক্ষিনের সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশনের অবস্থা বেশি খারাপ। কাছেই একটি কলেজও রয়েছে। কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই পথ দিয়ে কোন রকমে চলাচল করে। কৃষি ফার্মের পূর্বেও একই অবস্থা অতিসত্তর ব্যবস্থা না নিলে জনস্বাস্থ হুমকির মুখে পড়বে। এ ছাড়াও বগুড়ার এসপি ব্রিজ সংলগ্ন সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশনের পাশেই বগুড়া মহিলা কলেজ, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, মাদ্রাসা, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ, তিনটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ক্লিনিক, দু’টি কমিউনিটি সেন্টার, নার্সিং ইন্সটিটিউট ছাড়াও বউ বাজার এর ৫০ গজের মধ্যেই রয়েছে।
প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরাতন বগুড়া পৌরসভা এখনো আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভা বিশেষ শ্রেণিতে উন্নিত না করা হলে বা থোক বরাদ্দ না পেলে মেযর রেজাউল করিম বাদশা জানান, শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার পদক্ষেপ হিসাবে বিদ্যমান স্যানিটারী ল্যান্ড ফিলিং (ভাগাড়), সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ ও আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। চলতি অর্থ বছরে এ খাতে নিজস্ব তহবিল হতে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও "সলিড ওয়েষ্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের আওতায় এ খাতে ২০০ কোটি টাকার বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার উৎপাদিত বর্জ্যগুলি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধামে প্রক্রিয়াজাত করা হবে। এরুলিয়া ভাগাড় ছাড়া পৌরসভার আর কোন নিজস্ব ভাগাড় না থাকায় উপযুক্ত জমি কেনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে সকল এলাকায় সিবিও নাই সে সকল এলাকায় সিবিও কার্যক্রম চালু করার জন্য সকল কাউন্সিলরগণকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনতিনি বলেন ইতিমধ্যেই র্যাব অফিসের দক্ষিণ পার্শ্বে আধুনিক সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ করার কাজ শুরু করা হয়েছে। জায়গা প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে স্থায়ী ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে। অন্যান্য শহরের তুলনায় বগুড়া শহর যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন, বগুড়া পৌরসভাকে আদর্শ ও মডেল নগরী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য আরও পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে শহরের প্রাপ্ত বর্জ্যগুলি বিজ্ঞান সম্মতভাবে বহুবিধ ব্যবহার ও সম্পদে পরিণত করার ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে আলোচনা চলছে। উন্নত দেশগুলির ন্যায় শহরের বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা দিনের পরিবর্তে রাতে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, এক নং রেলঘুমটি, ফতেহ আলী বাজারের প্রবেশ মুখে আবর্জনা না ফেলার জন্য বাজার কমিটিকে বলা হলেও তারা কথা শোনে না।
স্টেশন রোডেও একই অবস্থা। তারা কথা আমলে নেয়না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন