ভিডিও

জয়পুরহাটে ডাকাতি করে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৪, ১১:৩৯ রাত
আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২৪, ১২:৫৭ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

জয়পুরহাট কোর্ট রিপোর্টার : জয়পুরহাটে ডাকাতরা ডাকাতি করে ওই বাড়ির এক সদস্যকে হত্যা করে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এই মামলার রায়ে ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত।

অর্থ অনাদায়ে তাদেরকে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। মামলার অপর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বিচারক তাদের বে-কসুর খালাস প্রদান করেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম।

আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন এ মামলার পাঁচ আসামি হত্যা ও ডাকাতি ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর এক আসামির বাড়ি থেকে লুন্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার হওয়ায় ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, জেলার সদর উপজেলার দাদড়াজন্তি গ্রামের বাবুপাড়া মহল্লার তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র সামছুল হুদা ওরফে ভোদা, দাদড়াজন্তি গ্রামের খাজের মৃধার ছেলে মোঃ মিজান, সদর উপজেলার ভিটি দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র বাবু মিয়া, সদর উপজেলার ভিটি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মুক্তিয়ার হোসেন, চকবম্বু পাতারপাড়া গ্রামের মৃত কিয়ামত আলীর পুত্র সবুর হোসেন এবং সদর উপজেলার ভিটি প্রধানপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র জাহিদুল ইসলাম।

জাহিদুল ইসলাম জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাজারি করেছেন। আদালতে উপস্থিত থাকা ৫ আসামিকে রায় ঘোষণা র পর পুলিশ তাদের জয়পুরহাট কারাগারে পাঠায়। মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৯ আগস্ট দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার দাদড়াজন্তি গ্রামের বাবুপাড়া মহল্লায় উৎপল চন্দ্রের বাড়িতে ডাকাতি  করে ডাকাতরা।

ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ ২ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। বাড়ির অপর সদস্য শিক্ষক প্রতুল চন্দ্র বাধা দিলে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় উৎপল কুমার মন্ডল বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে জয়পুরহাট সদর থানায় ডাকাতি এবং হত্যার মামলা করেন।

সদর থানার এসআই ফারুক খলিল মামলাটি তদন্ত করে ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মনিরুজ্জামান হিরন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS