ভিডিও

অফিস-আদালত ও মার্কেট খুললেও শহরের শপিংমলগুলো ছিল বন্ধ

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৪, ১১:০১ রাত
আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২৪, ১১:০১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : কোটা আন্দোলনের সহিংস ঘটনায় দেশেব্যাপী চলা কারফিউ আজ বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। সেই সাথে ব্যাংক, অফিস আদালত খুলেছে। কয়েকদিন পর লোকজন ফিরছেন কর্মস্থলে, মানুষের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

সবকিছুর সাথে শহরের নিউ মার্কেট খুললেও ও অভিজাত এলাকার বিপনীবিতানগুলো বন্ধ ছিল। শহরের বাইরে থেকে উল্লখযোগ্য সংখ্যক মানুষ না এলে জমবে না ব্যবসা বলছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী শনিবার থেকে আবারও আগের মত ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন তারা।

আজ বুধবার (২৪ জুলাই) বুধবার অফিস, আদালত খুলেছে। কয়েকদিনের ঘরবন্দি মানুষ বের হয়েছেন বিভিন্ন প্রয়োজনে। যানবাহনের চাপে শহরের ভিড় জমলেও মার্কেটগুলোতে অনেক দোকান বন্ধ ছিল। আবার যারা খুলেছিলেন তারাও অলস সময় কাটিয়েছেন। বগুড়ার জলেশ্বরীতলার বিভিন্ন ব্রান্ডের শোরুম, নবাববাড়ী রোডের রানার প্লাজা, পুলিশ প্লাজা বন্ধ ছিল। তবে ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

শহরের কয়েকটি এলাকায় সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি এবং পরমুহূর্তে ওঠা কড়া রোদ মানুষকে ঘরমূখি করে। তবে গত কয়েকদিনের ঘরবন্দি জীবন থেকে বের হয়েছিলেন অনেকে। পরিবার পরিজন নিয়ে বের হতে দেখা গেছে অনেককে।

সকালে মার্কেটগুলোতে দেখা যায় কয়েকদিনের বন্ধ হয়ে থাকা দোকান ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করছেন কর্মচারীরা। ক্রেতাশূণ্য ফাঁকা মার্কেটে বেশিরভাগ দোকান মালিক ও কর্মচারীদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে দেখা যায়।

এরই মধ্যে বগুড়া নিউ মার্কেটে মেয়ে এবং স্ত্রী শান্তাকে নিয়ে এসেছেন বগুড়া কলোনি এলাকার  ইমদাদুল হক । তিনি জানান, মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে । আগামী মাসের ২ তারিখে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছে। কেনাকাটা করা হয়নি এখনও। সময় নেই তাই বের হয়েছেন। কিন্তু বিকেলের আগেই বাড়ি ফিরতে হবে তাই তাড়াহুড়া  করছেন।

এদিকে চারদিন বন্ধ থাকার পর শহরের মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। শহরের সাতমাথায় মানুষের আনোগোনা বেশি হলেও নিউ মার্কেট, হকার্স মার্কেটে দেখা যায় বেশিরভাগ দোকান বন্ধ। অল্প যে কয়টি দোকান খুলেছে সেগুলোতে লোকজন কম, ক্রেতাও নেই। তারা জানান সহিংস ঘটনার কারণে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আজ বুধবার (২৪ জুলাই)ই প্রথম মার্কেট খুলেছে।

তাই স্বাভাবিক ক্রেতা কম। চলমান আন্দোলনে অনেক কর্মচারী গ্রামে চলে গেছে। কর্মচারীরা আরও দুইদিন ছুটি কাটিয়ে তবে ফিরবে। তখন বিপনীবিতান ও মার্কেটে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS