ভিডিও

তাড়াশ উপজেলায় দশ মাস যাবত সাব-রেজিস্ট্রারের পদ শূণ্য

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ১০:০২ রাত
আপডেট: জুলাই ২৬, ২০২৪, ১০:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিানধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রায় দশ মাস যাবত উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের পদ শূণ্য। অনিয়মিত কর্মকর্তা দিয়ে সপ্তাহে মাত্র একদিন জমি নিবন্ধনের কাজ চালানো হচ্ছে। একারণে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে দলিল লেখকরা কাজ না পেয়ে অর্থনৈতিক সংকটে ভূগছে। অন্যদিকে গত জুন মাসে জমি নিবন্ধনের কাজ হয়েছে মাত্র দুইদিন।

চলতি জুলাই মাসে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একদিনও রেজিস্ট্রি হয়নি। এ ভাবেই চলছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশউ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। এতে দুর্দিন চলছে জমি নিবন্ধের কাজে কর্মরত উপজেলার ৫৯ জন দলিল লেখক ও ৬ জনষ্ট্যাম্প ভেন্ডারের। তাঁরা বলছেন, নিয়মিত কর্মকর্তা না থাকায় জমি নিবন্ধন না হওয়ায় তাঁদের আয়- রোজগারেও টান পড়েছে।

পাশাপাশি সাব রেজিষ্টারের অভাবে অফিস নাচলায় জমি নিবন্ধন করতে এসে লোকজন বাড়ি ফিওে যাচ্ছেন। ফলে দুর- দুরান্ত থেকে আসা লোক জনের জন্য ভোগান্তি বেড়ে গেছে। সেই সাথে কমেছে জমি নিবন্ধন থেকে পাওয়া সরকারি রাজস্বের পরিমাণ।

জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাড়াশ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার  মোছা.ফারহানা আজিজকে তাড়াশ থেকে উল্লাপাড়া অফিসে বদলি করা হয়। এরপর উপজেলা সাব-রেজিস্টার পদে  কাউকে পদায়ন করা হয়নি বরং জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে অন্য উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার দিয়ে সপ্তাহে দুই দিন অফিস চলতো। সেখানে তাড়াশ উপজেলায় মাত্র একদিন করে জমি নিবন্ধনের কাজ করা হচ্ছিল।

আবার সেটা প্রতি মাসেই অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কোন মাসে তিন দিন আবার কোন মাসে একদিন এভাবে জমি নিবন্ধনের কাজ করায় গত ১০ মাসে জমির নিবন্ধন কমে আসে অনেক পরিমাণ। গত জুন মাসে জমি নিবন্ধনের কাজ হয়েছে মাত্র দুইদিন আর চলতি জুলাই মাসে গক বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একদিনও হয়নি। জমি রেজিস্ট্রি না হওয়ায় দলিল লেখকদেরও কাজ নাই।

কাজ না থাকায় উপজেলার ৫৯ জন দলিল লেখক, ৬ জন স্ট্যাম্প ভেন্ডার মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্থানীয় দলিল লেখক জাকারিয়া হোসেন বলেন, কাজ না থাকায় তাদের অনেকের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ দিকে তাড়াশ উপজেলা দলিল লেখক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহে এক দিন জমি নিবন্ধনের কাজ হলে সর্ব্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ টি দলিল  সম্পন্ন হয়। আর দুইদিন হলে ৫৫ থেকে ৬০ টি। আর যত দলিল নিবন্ধন হয় দলিল লেখক ও ষ্ট্যাম্প ভেন্ডারদের রোজগার ও তত বাড়ে। আর দলিল কম হলে আয়ও কমে। যেমন সপ্তাহে কোন একজন দলিল লেখক একটি দলিল লিখলে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পান।

আর কাজ না পেলে কোন রোজগার নেই। এ ছাড়া অফিস একদিন চললে যে পরিমাণ দলিল সম্পাদন হয় তাতে সব দলিল লেখক কাজ পান না। স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের অবস্থাও একই ধরনের বলে মন্তব্য করেন স্ট্যাম্প ভেন্ডার আশিকুল ইসলাম।

দলিল রেজিস্ট্রি হলে দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের আয়- রোজগার হয়, না হলে হয় না। তাই তারা শূন্যপদে সাব রেজিস্ট্রার পদায়নের দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার ডা. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তাড়াশে একজন নিয়মিত সাব রেজিস্ট্রার পদায়নের চেষ্টা চলছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS